![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: প্রোটিনের ভাঁজের তারতম্য থেকেই শারীরিক গঠন বদলায়, অসুখ হয়, ঔষধ কাজ করে, অসুখ সারে।
এক কথায় বলতে গেলে প্রোটিনের ভাঁজই জীবদেহের সবকিছুর জন্য দায়ী। প্রোটিন বিভিন্ন ভাবে ভাঁজ হয়ে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের জৈব রাসায়নিক মেশিন যা বেঁচে থাকার জন্য জীবদেহের কাজগুলো সম্পাদন করে।
প্রোটিন কিভাবে ভাঁজ হয় এই প্রশ্নের জবাব ৫০ বছর ধরে খুঁজছে বৈজ্ঞানিকরা। অবশেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় অ্যামাইনো এসিডের বিন্যাস থেকে এই জটিল প্রশ্নের সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বৈজ্ঞানিকরা। গুগলের ডিপ মাইন্ড ল্যাবের গবেষকরা পূর্ববর্তী ডেটাকে কাজে লাগিয়ে অ্যামাইনো এসিডের বিন্যাস থেকে একটি প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক ছবি কেমন হতে পারে তা সঠিকভাবে অনুমান করতে সক্ষম হয়েছে।
এই সাফল্যটি একটি বৈজ্ঞানিক মহাসাফল্য। ১৯৭২ সালে অ্যামাইনো এসিড প্যাটার্ন দেখে প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক চিত্র বের করা সম্ভব এই থিওরির জন্য নোবেল পান ক্রিস্টিয়ান অ্যানফিনসেন। সাম্প্রতিক এই আবিষ্কারটি তারই থিওরির একটি প্রমাণ। এর ফলে জৈব রসায়নের অনেক মৌলিক কর্মপন্থা বদলে যেতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে একই গবেষণা নিয়ে কাজ করবেন আরও অনেক স্বাধীন বৈজ্ঞানিক। তাদের ফলাফলও যদি একই রকম আসে তাহলে এই পদ্ধতিটির ব্যবহারিক প্রয়োগ শুরু হবে জৈব রাসায়নিক গবেষণায়। যদিও, চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষকরা কম্পিউটেশনাল পদ্ধতিগুলোর বিষয়ে এখনও খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন।
বিবিসি অবলম্বনে এমআর/ডিসেম্বর ২/২০২০/১০৩৪
আরও পড়ুন
বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা লেন্স তৈরি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর
ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশাল সুখবর
প্রযুক্তি সচেতনতা: একটি ইমেইল কম পাঠিয়েও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখা যায়