![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আমরা যখন মোবাইলে দুর্বিষহ দৃশ্যপট দেখে মন খারাপ করি, অনেক কথা বলে বা লিখে ফেলি; ঠিক এ সময়টাতে কেউ না কেউ খেলাধুলায় মগ্ন আছে। দিব্বি সুন্দর দিনটাকে কাটিয়ে দিচ্ছে।
দিনের শুরুটা হয় মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে। অনেকেরই ঘুম ভাঙে মোবাইলের শব্দে। অথবা ঘুম থেকে উঠেই ঘণ্টাখানেক মোবাইল ঘাঁটা যেন রুটিন হয়ে গেছে। এ সময়টাতে খারাপ সংবাদ, বিরক্তিকর কিংবা দুর্বিষহ ছবি-ভিডিও দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।
সকাল-সকাল মনটা ভারি হয়ে গেলে গোটা দিনটাতেই এর কম-বেশি প্রভাব পড়ে । সারা দিনের হিসেব করলে কয়েক ঘণ্টা কেটে যায় মোবাইল দেখে-দেখে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আমেরিকানরা দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টাই মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখেন। এর মধ্যে তারা টানা সোয়া ৩ ঘণ্টার মতো ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন।
এছাড়া কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে অনলাইনে ঢুঁ মারেন। আর হাঁটা-চলার সময় তাদের ৯৫ শতাংশই ডিভাইসের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত বা যুক্ত থাকেন।
তারাই আবার রাতে ৮ ঘণ্টার মতো ঘুমান। ঘুম, অফিস আর অনলাইনে কাটানো সময়কে বাদ দিলে বাকি যে ঘণ্টা খানেক (৫৯ মিনিট) সময় থাকে, ওই সময়টাতে তারা কী করে? এ প্রশ্নের উত্তর জানাটা জরুরি।
এই সময়টাতে তারা অনলাইন বা প্রযুক্তির বাইরে নিজের মতো করে সময় দেন। তারা প্রিয় মানুষকে আকৃষ্ট করতে চান, যা ওই সময়টাতে তাদের প্রযুক্তিপণ্যের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রযুক্তিবিহীন ঐ সময়টাতে তাদের জন্য উপযুক্ত উপলক্ষ খুঁজে দেওয়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ দুটোই।
সূত্র : ইন্টারনেট, টিআর/নভেম্বর ৩০/২০২০/১৯৫৮
আরও পড়ুন
অনলাইনেই মিলছে শখের পোষা প্রাণী