![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মহামারি শুরু হওয়ার পর গুজব ঠেকাতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
নিয়মিত হাত ধোয়া, সামাজিক সংস্পর্শ এড়ানো এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলার মতো বিষয়গুলোকে অনেকেই প্রথমে গুরুত্ব দেননি। ব্যাপক প্রচারণার পর গুজব তৈরির হার কমলেও সে সময় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে আরেক দফা গুজব ছড়াবে। তাদের সেই অনুমান ভুল ছিলো না। বাজারে ভ্যাকসিন আসার আগেই ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এক মিমে বলা হয়েছে, ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ৯৯.৯৭ শতাংশ। ভ্যাকসিন নিলে ডিএনএ পরিবর্তনের আশঙ্কা আছে। এর দায় কেউ নেবে না।
বিষয়টি মিম আকারে ছড়ানো হলেও এতে তথ্যগত অনেক ভুল রয়েছে বলে জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ জেসন ওক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওয়ার হার ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০ হাজার জনে ১০০ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু মিমে বলা হয়েছে, ১০ হাজার জনে ৩ জনের মৃত্যু হয়। আর জেনেটিক কোড বা ডিএনএ পরিবর্তন করার বিষয়টি পুরোপুরিই ভুয়া।
ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়েও অনেক মিম বানানো হয়েছে। সেখানে মানুষের চেহারার বিকৃত ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরের অবস্থা।
ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তবে সেগুলো হাত ব্যাথা, মাথাব্যাথা ও হালকা জ্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
ভুয়া তথ্য দিয়ে তৈরি মিমগুলো কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মাস্ক না পরার মতো ভ্যাকসিন নিয়েও যদি প্রতিবাদ শুরু হয় তবে তা আশঙ্কাজনক। ভ্যাকসিন ছাড়া সংক্রমণ আরও বাড়বে। মৃত্যুও বাড়বে। হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ সবাই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে গেলে তবেই শুধু কোভিড-১৯ রোগটির বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/ নভেম্বর ২৯/২০২০/১৭৫১
আরও পড়ুন –
উ.কোরিয়া ও রাশিয়ার হ্যাকারদের নজর ভ্যাকসিনে
আসছে আরেক মহামারী! বিল গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী!