![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আপনি কোন দলকে পছন্দ করেন বা আপনার সম্ভাব্য ভোট কার পক্ষে যেতে পারে, সেসব তথ্য গোপনে মধ্যস্ততাকারীদের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, যাতে করে তাদের মত বা পছন্দের অবস্থা মূল্যায়ন করে কার্যকর প্রচারণা চালানো যায়।
ব্রিটিশ রাজনৈতিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান দ্য ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকার (সিএ) কুকীর্তির কথা জনসমক্ষে আসে। সে ঘটনার পর আলোচনায় আসে–কিভাবে তৃতীয় পক্ষ মিলিয়ন-মিলিয়ন ফেইসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য লুফে নেয় আর এ প্লাটফর্মকে তারা মেসেজিং টুল হিসেবে ব্যবহার করে।
যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার’স অফিসের প্রতিবেদনেও ডেটা বিক্রির মধ্যস্ততাকারী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। তাদের মতে, অন্তত এক কোটি ভোটারের তথ্য বেহাত হয়েছে।
যেসব নাগরিকদের নাম-ঠিকানা ছাড়া বিস্তর তথ্য নেই, সেগুলোকেও কাজে লাগিয়েছে ডেটা ব্রোকাররা। যেমন–এমন অনেকের নাম আছে যেগুলোর মাধ্যমে তার ধর্ম ও জাতিগত পরিচয় পাওয়া যায়। একজন লোক যদি আরব বা এশীয় হয়, তাহলে পরিবারের গড় সদস্য সংখ্যা কত জন হতে পারে, এর একরকম সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যায়।
যদি একাধিক ব্যক্তির একই পারিবারিক বা বংশীয় নাম থাকে, আর ঠিকানা হয় অভিন্ন জায়গায়, তাহলে তাদেরকে একই পরিবারের বলে ধারণা করা হয়। তাদের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে যেমন প্রচারণা কার্যকর হবে, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তেমনটাই করেন। আর এ কাজে সমন্বয়ের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
সূত্র : ইন্টারনেট, টিআর/নভেম্বর ২৯/২০২০/১১৪৯
আরও পড়ুন
বন্ধ হচ্ছে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা