![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ধূমপায়ীরা যেমন অভ্যাসবশত সিগারেটে আগুন ধরান তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা আনমনেই ফোনে হাত দেন। এটাও এক প্রকারের আসক্তি। তবে এই আসক্তি তৈরির পেছনে ফোনে নোটিফিকেশন আসার কোনো সম্পর্ক নেই।
এ তথ্য জানিয়েছে, লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স ও পলিটিকাল সায়েন্স (এলএসই)। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারী কোনো কারণ ছাড়াই ফোন হাতে নেন। বাকি ১১ শতাংশ ক্ষেত্রে নোটিফিকেশন অ্যালার্ট আমাদেরকে ফোন হাতে নিতে প্রলুব্ধ করে।
মানুষ কেন ফোন বার বার ফোন হাতে নেয় সে প্রশ্নের উত্তরও গবেষণায় খোঁজা হয়েছে। ২২ শতাংশ মানুষ ফোন হাতে নেয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের জন্য। কোনো নোটিফিকেশন এসেছে কিনা তা দেখতে লক স্ক্রিনের দিকে তাকান ১৭ শতাংশ। ইনস্টাগ্রাম দেখার জন্য ফোনের দিকে মনোযোগ দেন ১৬ শতাংশ।
ফেইসবুকে ঢোকার জন্য ফোন হাতে নেন ১৩ শতাংশ। ইমেইল দেখতে ফোন চেক করেন ৬ শতাংশ। কল করার জন্য ফোন হাতে নেন ১ শতাংশ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গ্রুপ চ্যাট আমাদের মনের উপর চাপ ফেলে। তবে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মতে, গ্রুপ চ্যাটের অধিকাংশ কথাই গুরুত্বহীন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলের নোটিফিকেশন।
আড্ডার সময় ফোনের ব্যবহার সবচেয়ে কম। বাসে ভ্রমণের সময় বা বাসায় থাকা অবস্থায় ফোনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
গবেষণার ফলাফল দেখে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই অবাক। একজন জানিয়েছেন, তার ধারণা ছিলো, তিনি ঘন ঘন ফোন হাতে নেন না। ফলাফল দেখে তিনি বুঝতে পারছেন এই ধারণা ভুল। কখন মনের অজান্তে ফোন হাতে নিচ্ছেন তার খেয়ালই থাকছে না।
আরেক অংশগ্রহণকারী জানান, সব সময় ফোন হাতে নিয়ে থাকার বিষয়টি দেখে তিনি অবাকই হয়েছেন। ফোন ছাড়া কখন কোন কাজ করেছেন তার মনেও পড়ছে না।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স ও পলিটিকাল সায়েন্স (এলএসই) গবেষক অধ্যাপক সাদি লাহলো জানিয়েছেন, যোগাযোগের জন্যই সব সময় আমরা ডিভাইস হাতে নিচ্ছি তা নয়, বরং ফোনে সময় কাটানোটা এখন একটা চাহিদা।
এটা খুবই ভয়ের ব্যাপার। ডিভাইস আমাদের জীবনকে কিভাবে পাল্টে দিচ্ছে তা না বুঝেই আমরা অন্ধকারের দিকে ছুঁটছি।
উল্লেখ্য, গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স ডাইরেক্ট জার্নালে।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/ নভেম্বর ২৬/২০২০/১৭.৩৫
আরও পড়ুন –
স্মার্টফোনের আসক্তি কমাবে অ্যাপ
স্মার্টফোন আসক্তি : কোন পথে হাঁটছি আমরা?