![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ১৯৮২ সালে হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ধারার চলচ্চিত্র ব্লেড রানারে সর্বপ্রথম উড়োযানের দেখা মিলে। ওই সময়কার দর্শকরা দৃশ্যটাকে কাল্পনিক বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। এমন উড়োযান বাস্তবে হবে, এমন চিন্তা তখন দুঃসাধ্যই ছিল। বহু বছর পর আজ সেই কাল্পনিক দৃশ্যই বাস্তবে রূপ নিলো।
আগামী বিশ্বের স্বচ্ছল মানুষের আধুনিক যান হবে ফ্লাইং কার, প্রচলিত ব্যক্তিগত গাড়ির জায়গার দখল নেবে এই উড়োযান। এটা প্রযুক্তির চলমান যাত্রা ও সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলোকে সামনে আনলে সহজেই আন্দাজ করা যায়।
ফ্লাইং কার নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এটা স্রেফ প্রযুক্তির পরিক্ষামূলক ব্যবহার ও সীমিত পরিসরে প্রয়োগের জন্য নাকি আধুনিক বিশ্বের জনসাধারণের মধ্যে বড় পরিসরে বিস্তারের জন্য, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। দিন দিন ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্লাইং কার লিলিয়ামের অবতরনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ভেরিপোর্ট তৈরির কাজে হাত দিয়েছে জার্মান অ্যভিয়েশন প্রতিষ্ঠান।
২০২৫ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে। ৫৬,০০০ বর্গফুটের এই ভেরিপোর্টকে কার হাব বা ফ্লাইং কারের স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর মানে, সেখানে ভাড়ায় চালিত বা ব্যক্তিগত ফ্লাই কার ওঠা-নামা, পার্কিং ও চার্জিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, ফ্লাইং কার আর দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আসছে।
বিদ্যুৎ চালিত এসব ফ্লাইং কারের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৮৬ মাইল। লিলিয়াম ফ্লাইং কারগুলোকে ভাড়ায় চালিত বাহন বা ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মূলত উবার, লিফট ও ভিয়াবলের বিকল্প সেবা লিলিয়ামের মাধ্যমে আকাশ পথে চালু হবে ।
সূত্র : ইন্টারনেট, টিআর/নভেম্বর ১৩/২০২০/১২৫০
আরও পড়ুন –