![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে একটি অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
টুইটারে তার পোস্ট করা অভিনন্দন টুইটের ছবির মধ্যে ঝাপসা করে ট্রাম্পের নামটিও রয়ে যায়। ট্রাম্পের নামের নিচে ‘সেকেন্ড টার্ম’ শব্দ দুটির অস্তিত্বেরও আভাস পাওয়া যায়। লেখা সম্বলিত ছবিটিকে বিভিন্নভাবে এডিট করলে এই বিষয়টি যাখা যায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে যে নির্বাচনের ফলাফল আসার আগেই দুটি সম্ভাব্য ফলাফলকে মাথায় রেখে দুটি টুইট তৈরি করা ছিলো। ওই কারণেই এই টেকনিক্যাল সমস্যার জন্ম হয়েছে।
বিষয়টি কিছুটা নির্দোষ ও অনাকাঙ্খিত ভুল হলেও বাইডেন ও বরিস জনসনের সম্পর্কের ইতিহাস এটিকে আলাদা তাৎপর্যের স্থানে নিয়ে গেছে। সে কারণেই টুইটারে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়েছে।
বাইডেনের সঙ্গে বরিস জনসনের কখনওই দেখা হয়নি। রাজনৈতিক আদর্শ ও বাইডেনের ব্রেক্সিট বিরোধিতা এর কারণ হতে পারে বলে ধারনা করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া বাইডেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের উপর বরাবরই গুরুত্বারোপ করে আসছেন।
অতীত যা’ই হোক না কেন, জো বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিন্ডেন্টের দায়ীত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকা দুটি দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। তাই বরিস জনসন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাইডেনের সঙ্গে ২০ মিনিট ফোনালাপ করেন।
কথোপকথনে জলবায়ু পরিবর্তন ও ট্রেড সিকিউরিটি ইস্যুতে দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাইডেন ও জনসন।
বিবিসি অবলম্বনে এমআর/নভেম্বর ১১/২০২০/২১৩২