![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে যে কাউকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে উবারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সাবেক উবার চালকরা নেদারল্যান্ডসের এক আদালতে মামলা করেছেন রাইড শেয়ারিং কোম্পানিটির নামে।
মামলায় তারা জানান, অটোমেটেড রোবো ফায়ারিংয়ের ব্যবহার করে চালকদের ছাঁটাই করেছে উবার। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি। তাদের দাবি, চালকদের অ্যাকাউন্ট ম্যানুয়ালি যাচাই করে বন্ধ করা হয়। নিয়মিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিশেষজ্ঞ টিমের দ্বারা চালকদের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে।
অ্যাপ ড্রাইভার ও কুরিয়ার ইউনিয়ন (এডিসিইউ) মামলায় জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার চালককে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ছাঁটাই করে অ্যাকাউন্ট ডিজ্যাবল করা হয়েছে। আপিল করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
লন্ডনের আইন অনুযায়ী, বেসরকারি কোম্পানির কর্মরত কোনো চালককে ছাঁটাই করা হলে বিষয়টি ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। এর ফলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য ১৪ দিন সময় পায় চালকরা।
কিন্তু উবারের চালকরা জানেনই না তাদের অপরাধ কী। উবার তাদেরকে ছাঁটাইয়ের কোনো কারণ জানায় না।
এব্যাপারে টিএফএল বিস্তারিত জানতে চেয়েছে উবারের কাছে। তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে কোনো এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি উবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান, ২ বছর উবারে গাড়ি চালিয়ে তার রেটিং ছিলো ৪.৯৪। হঠাৎ করেই একদিন আর লগ ইন করতে পারছিলেন না। এরপর উবারের কাস্টমার সাপোর্টে কল করেন। তারা জানায়, প্রতারণার অভিযোগে অ্যাকাউন্ট ডিজ্যাবল করা হয়েছে।
এরপর গত দেড় বছরে ৫০ বার উবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জানতে পারেননি তার অপরাধ কী। ছাঁটাইয়ের পর তাকে টিএফএল এর কাছে রিপোর্ট করা হয় তবে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দেয়নি উবার। টিএফএল ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে লিখিতভাবে সবকিছু জানান তিনি। এরপর সেটা দেখে তার লাইসেন্স বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয় টিএফএল।
এজেড/অক্টোবর ২৭/২০২০/১৯২৫