পুরানো পণ্য ভাঙার বদলে বিক্রি, অ্যাপলের মামলা

ভেঙে ফেলা পুরানো আইফোন। ছবি : ইন্টারনেট

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কানাডিয়ান এক রিসাইকেলিং কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে অ্যাপল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পুরানো অ্যাপল পণ্য না ভেঙে সেগুলো পুনরায় বিক্রি করেছে তারা। এ তালিকায় আছে আইফোন, আইপ্যাড ও অ্যাপল ওয়াচসহ ১ লাখ ডিভাইস।

অ্যাপল গত জানুয়ারিতে মামলা করে। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আসে গত সপ্তাহে। মামলায় অভিযুক্ত অন্টারিওভিত্তিক রিসাইকেলিং কোম্পানিটির নাম গ্লোবাল ইলেক্ট্রিক ইলেক্ট্রনিক প্রসেসিং (গিপ)। ২০১৪ সালে পুরানো অ্যাপল ডিভাইস ভাঙার জন্য কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করে অ্যাপল।

২০১৮ সালে হিসাব পরীক্ষা করার পর অ্যাপল বুঝতে পারে কিছু ডিভাইস গিপের ওয়্যারহাউজে না রেখে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে সিসিটিভি কভারেজ নেই। এরপর ডিভাইসের সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে তারা বুঝতে পারে এখনও পুরানো ডিভাইসগুলোর ১৮ শতাংশ ক্যারিয়ার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত আছে।

Techshohor Youtube

২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ আইফোন, আইপ্যাড ও অ্যাপল ওয়াচ ভাঙার জন্য গিপের কাছে পাঠানো হয়। পুনরায় বিক্রি করা ডিভাইসের আসল সংখ্যা কতো তা এখনও জানতে পারেনি অ্যাপল।

ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৩ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে তারা। একই সঙ্গে বিক্রি করা ডিভাইসের অর্থও ফেরত চেয়েছে টেক জায়ান্টটি।

অ্যাপলের মুখপাত্র জানিয়েছে, রিসাইকেলিংয়ের জন্য পাঠানো পণ্য বিক্রির উপযোগী নয়। আর  নকল যন্ত্রাংশ দিয়ে পুনরায় বিক্রির উপযোগী করলে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। ব্যাটারি বিস্ফোরণের আশংকাও থাকে।

গিপ জানিয়েছে পুনরায় ডিভাইস বিক্রির ঘটনাটি সত্য। তবে এতে শুধু তিন কর্মী জড়িত ছিলো। তিন কর্মী হোয়াইটবাই নামের আরেকটি কোম্পানির কাছে ডিভাইস বিক্রি করেছে। তারা আবার বিক্রি করেছে চীনের ক্রেতাদের কাছে।

ঘটনাটি তারা জানতে পারার আগেই দুই জন চাকরি ছেড়ে দেয়। বাকি একজনকে তারা ছাঁটাই করে। ডিভাইস পুনারয় বিক্রি করে অর্থ আয়ের বিষয়টি তারা নাকোচ করেছে।

বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে এজেড/ অক্টোবর ০৬/২০২০/১১১৫

আরও পড়ুন –

কেনো ফোল্ডবল ফোনের বাজারে অনুপস্থিত অ্যাপল?

পারফর্মেন্সে অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপের চেয়ে এগিয়ে আইফোন এসই

আইফোন এসই : মূল থেকে ভিন্ন, নেই হেডফোন জ্যাক

সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি এখন অ্যাপল

*

*

আরও পড়ুন