![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : খেলনা বা বিনোদনের জন্য অনুমতি না নিয়েই ড্রোন ওড়ানো যাবে। এসব ড্রোন কোনোভাবেই ৫ কেজির বেশি ওজনের হওয়া যাবে না।
একই সঙ্গে ওড়ানোর পর সেটি ৫০০ ফুটের বেশি উপরে ওঠানো যাবে না।
সোমবার মন্ত্রিসভা ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০-এর যে খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সেখানেই এমন কিছু বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকটি ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ড্রোন নীতিমালা অনুযায়ী, অবাণিজ্যিক ও বাণিজ্যিক হলে ড্রোন ব্যবহারে অনুমতি লাগবে। আর রাষ্ট্রীয় ও সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না।
তিনি জানান, যেসব ক্ষেত্রে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি নিতে হবে, সেই অনুমতি কার কাছ থেকে নিতে হবে তা সিভিল এভিশেয়ন নির্দিষ্ট করে দেবে।
ড্রোন কোথায় ওড়ানো যাবে বা যাবে না- সেই প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, গ্রিন, রেড এবং ইয়োলো জোন করে দেওয়া হয়েছে। খেলনা বা বিনোদনের জন্য ৫০০ ফুটের বেশি ওপরে যেতে পারবে না। বাকিগুলোকে অনুমতি নিতে হবে।
এর মধ্যে রেড জোনে ড্রোন ওড়ানো সাধারণের জন্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যেমন-বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। পদ্মাসেতুতেও কাউকে ড্রোন ওড়াতে দেওয়া হবে না। ‘কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন’ বা কেপিআইয়ের ভেতরে ড্রোন ওড়ানো যাবে না।
এসব এলাকায় ড্রোন ওড়াতে শুধু সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। যেমন আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা পদ্মার ওপর একটা ডকুমেন্টারি করবে, তখন সিভিল এভিয়েশন অনুমতি দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটি থেকেও অনুমতি লাগবে।
ইএইচ/সেপ্টে১৪/২০২০/১৯১৫
আরও পড়ুন –
ড্রোনে পণ্য ডেলিভারির অনুমতি পেল অ্যামাজন
আফ্রিকায় ড্রোন যেভাবে জীবন রক্ষাকারী হয়ে উঠছে