![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ভারতের হাজার হাজার ব্যক্তির উপর চীনের এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের সাংসদ ও মন্ত্রী, বিনোদন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সেনাবাহিনীর সদস্য, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানসহ নানান প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরাও সেই তালিকায় রয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম চিনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ‘সিনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই নজরদারি চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ‘ক্লায়েন্ট’ হিসেবে শি জিনপিং সরকার, চীনের সেনাবাহিনী পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তিদের কাজকর্ম, তাঁদের গতিবিধিসহ যাবতীয় তথ্য প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করছে সিনহুয়ার ওই সংস্থা। তথ্যসংগ্রহের উৎস বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, গবেষণাপত্র, প্রতিবেদন বা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির মতো বহুবিধ বিষয়।
শিনহুয়ার নিজস্ব ‘মনিটরিং ম্যাপ’ও রয়েছে। সংস্থাটি যাকে বলে ‘পার্সন ইনফর্মেশন অ্যান্ড রিলেশনশিপ মাইনিং’। শিনহুয়ার ওয়েবসাইটে রয়েছে ‘ওভারসিজ কি ইনফরমেশন ডেটাবেস’ (ওকেআইডিবি)।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, গত প্রায় দুই মাস ধরে সংস্থার ‘মেটা ডেটা’ ও ‘লগ ফাইল’ ঘেঁটে তথ্য বার করেছে তারা। দেখা গেছে, শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে সংস্থাটি নজরদারি চালায়।
এর আগে ভারত গত জুনে নজরদারি ও তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় দেশটিতে গত আগস্টে আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়।
মূলত ১৫ জুন ভারত-চীনের লাদাখ সীমান্তে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহতের পর এমন ব্যবস্থা নেয় ভারত।
ইন্টারনেট অবলম্বনে ইএইচ/সেপ্টে১৪/২০২০/১৪৪০
আরও পড়ুন –
ভারতে নিষিদ্ধ টিকটক, উইচ্যাটসহ ৫৯ চীনা অ্যাপ