![]() |
আল-আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিগত বছরগুলো দ্রুত বাজার দখলকারী ব্র্যান্ডগুলোর একটি শাওমি। দেশের বাজারে ২০১৯ সালেও শীর্ষ পাঁচের তালিকায় ছিল শাওমি।
অথচ ২০২০ সালে প্রথম প্রান্তিকে শীর্ষ পাঁচ হতে ছিটকে গিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই তালিকার বাইরেই পড়ে থাকতে হয়েছে শাওমির।
শুধু শাওমি নয় দেশে কারখানা স্থাপন না করা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য দেশের বাজার দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে।
এই গত বছরের শেষে দেশে কারখানা করা ভিভো ও অপো ২০২০ সালে ঢুকে গেছে শীর্ষ পাঁচের তালিকায়।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ষষ্ঠ স্থানে চলে যাওয়া শাওমির যে বাজার অংশীদ্বারিত্ব তা ৫ম স্থানে থাকা ব্র্যান্ডটি হতে বেশ ব্যবধানেরও।
২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫ম স্থানে থাকা অপোর বাজার ১০ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে শাওমির ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপরিচিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে যারা কারাখানা করেছে তারা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবে। ৫৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানিকারকদের বিপরীতে দেশে কারখানা স্থাপনকারীদের ব্যাপক শুল্কছাড়ের সঙ্গে টিকে থাকা মুশকিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শাওমিসহ যারা এখনও দেশে কারখানা করেনি তাদের কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে কারখানা স্থাপনে পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে শুল্ক ছাড়সহ নানা সুবিধা তারা পেতে পারে। দেশের বাজার এখন অনেক বড়, ডিজিটাল জীবন-যাপনের অগ্রতিতে বিশ্বে টেকসই চমক দেখানো দেশ বাংলাদেশ। যারা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করবে তারা পিছিয়ে পড়বে।
একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরামর্শক ও বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শীর্ষ পাঁচে থাকা ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে স্যামসাং, ট্র্যানশান, সিম্ফোনি, ভিভো, অপো। এসব ব্র্যান্ডের প্রত্যেকের কারখানা রয়েছে দেশে।
এছাড়া ওয়ালটনেরও রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাজার শেয়ার। অন্য যে ব্র্যান্ডগুলো যারা কারখানা করছে তারাও প্রতিনিয়ত উন্নতির দিকে।
সংস্থাটি নিয়মিতই বাংলাদেশের হ্যান্ডসেট বাজারের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
অন্যদিকে শাওমি ঘাড়ে উপর নি:শ্বাস ফেলছে রিয়েলমি। বছর শুরুর প্রান্তিকেও যেখানে বাজার ছিল মাত্র ১ দশমিক শূন্য শতাংশ যেখানে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে এর দখল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
এর আগে আন্তর্জাতিক ডেটা করপোরেশন (আইডিসি) এর ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকার, কিউ৪ ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ২০১৯ সালে প্রথম স্থানে ছিল স্যামসাং। মোট বাজারের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।
দ্বিতীয় ছিল সিম্ফোনি। মোট বাজারের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল তাদের। তৃতীয় ছিল ট্র্যানশান। ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাজার শেয়ার ছিল তাদের। ওয়ালটন ছিল চতুর্থ। তারা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে রেখেছিল।
পঞ্চমে থাকা শাওমির শেয়ার ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।
এডি/২০২০/সেপ্টেম্বর০২/১৯০০