![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নিউরালিংকের ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের অগ্রগতি লাইভ দেখালেন ইলন মাস্ক।
গত জুলাইয়ে নিউরাটেকনলোজি কোম্পানি নিউরালিংকের অগ্রগতি দেখানোর ঘোষণা দেন তিনি। তখন ধারণা করা হয়, মানবদেহে নিউরালিংকের চিপ কিভাবে কাজ করে তা লাইভে দেখাবেন তিনি। তবে চিপের কার্যকারিতা দেখাতে মানবদেহ নয়, ‘গারট্রুড’ নামের একটি শুকর বেছে নেওয়া হয়।
শুকরের মস্তিষ্কে কয়েনের মতো ক্ষুদ্র চিপটি কিভাবে কাজ করছে তার লাইভ বর্ণনা দেন ইলন মাস্ক। ভিডিওতে দেখা যায়, যখনই গারট্রুড নাক দিয়ে কিছু শুকছে বা খাচ্ছে তার সিগনাল গ্রাফ হিসেবে ভেসে উঠছে কম্পিউটার স্ক্রিনে। তবে রিয়েল টাইমে মস্তিষ্কের নিউরাল অ্যাক্টিভিটির সিগনাল প্রেরণে গারট্রুডের আচরণে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। তার মস্তিষ্কে চিপটি ইন্সটল করা হয় ২ মাস আগে।
ইলন মাস্ক জানান, নিউরালিংক নির্মিত প্রথম চিপের চেয়ে বর্তমান চিপের আকার কমানো হয়েছে। মাথার খুলিতে খুব সহজেই এটি সেট হয়ে যায়। চুলের নিচে থাকলেও অস্তিত্ব বোঝা যায় না।
নিউরালিংকের চিপে আছে ৩ হাজার ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রডস যা দিয়ে ১ হাজার নিউরনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যায়।
চলতি বছর মানব দেহে এই চিপের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে মস্তিস্কে চিপটি রাখা নিরাপদ কিনা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা যাচাই বাছাই শেষে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলে তবেই তা বাজারে আসবে।
এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে পারকিনসন, ডিমেনশিয়া ও স্ট্রোকে মস্তিষ্কের কিছু স্থানের নিয়ন্ত্রণ হারানো ব্যক্তিরা উপকৃত হবেন।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/আগস্ট ৩০/২০২০/১১১৬
আরও পড়ুন
মস্তিষ্ক ও কম্পিউটারকে সংযোগ করার চেষ্টায় ইলন মাস্ক