এক বিধিনিষেধে বছরে ২০০ কোটি টাকা হারাবে গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজ। ছবি : টেকশহর

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : এসএমপি হিসেবে কল টারমিনেটিং বিধিনিষেধে বছরে ২০০ কোটি টাকার মতো আয় হারাবে গ্রামীণফোন। 

টারমিনেটিং অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের পাওনা কমিয়ে দেয়ার বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার হতে । 

যেখানে অরিজিনেটিং অপারেটর হতে প্রতি মিনিটে ১০ পয়সার পরিবর্তে ৭ পয়সা করে পাবে গ্রামীণফোন।

Techshohor Youtube

আর এতেই এক বছরের হিসেবে ভয়েস কল খাত হতে অপারেটরটির আয় কমে যাবে ১৮০ হতে ২০০ কোটি টাকার মতো। 

অপারেটরটির সম্প্রতি প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাবে দেখা যায়, তারা এই টারমিনেটিং অপারেটর বা আন্ত:সংযোগ থেকে আয় করেছে ১৪৫ কোটি টাকা। যা বছর শুরুর প্রান্তিকে ছিল ১৫৮ কোটি টাকা। 

বিধিনিষেধে ৩০ শতাংশ আয় কেটে নিলে গড় হিসেবে বছরে মোট আয় হতে ২০০ কোটি টাকার কমবেশি হারাতে হচ্ছে গ্রামীণফোনকে। 

যেভাবে কাটা হবে টাকা :

একজন গ্রাহক রবি হতে জিপিতে কল করছেন তাহলে রবি অরিজিনেটিং অপারেটর আর জিপি টারমিনেটিং অপারেটর। সাধারণ নিয়মে অরিজিনেটিং অপারেটর হতে প্রতি মিনিটে ১০ পয়সা করে পেয়ে থাকে টারমিনেটিং অপারেটর।

এসএমপির এই বিধিনিষেধের কারণে জিপি যখন অরিজিনেটিং অপারেটর হবে তখন টারমিনেটিং অপারেটর রবি, বাংলালিংক ও টেলিটককে ১০ পয়সা করে দিলেও  টারমিনেটিং অপারেটর হিসেবে জিপিকে ৩ পয়সা করে কম দেবে ওই তিন অপারেটর।

এই টাকা কোথায় যাবে ? 

আপাতত অরিজিনেটিং অপারেটরগুলো এই টাকা আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা করবে। পরবর্তীতে বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী এই অর্থ খরচ বা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে

এদিকে এই বিধিনিষেধসহ এসএমপির আরও বিধিনিষেধের বিষয়ে আদালতে গেলেও সেখান হতে ফিরে এসেছে অপারেটরটি। 

এবার আলোচনায় বসে সুরাহা চাইছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান টেকশহরডটকমকে বলছেন, এসএমপি ইস্যুতে গ্রামীণফোন বিটিআরসির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

এসআইজেড/এডি/২০২০/১৭০০/জুলাই১৮

আরও পড়ুন – 

এসএমপি বিধিনিষেধ, মামলা তুলে আলোচনায় বসছে গ্রামীণফোন  

এসএমপির বিধি-নিষেধ কার্যকর চায় তিন অপারেটর

*

*

আরও পড়ুন