![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাবে ভারতে শীর্ষ মোবাইল ব্র্যান্ডের পাঁচটির মধ্যে চারটিই চীনের ব্র্যান্ড।
যেভাবে দেশটিতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে তাতে কী সম্ভব এসব পণ্য বর্জন করা?
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ বলছে, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভারতে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে সবার উপরে অবস্থান করছে শাওমি। তাদের বাজার শেয়ার ৩০ শতাংশ। অন্য ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ভিভো ১৭, স্যামসাং ১৬, রিয়েলমি ১৪ এবং অপ্পো ১২ শতাংশ বাজার দখল করে রেখেছে। অর্থাৎ শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের চারটি চীনের একটি দক্ষিণ কোরিয়ার।
এছাড়াও অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলো যে ১১ শতাংশ বাজার ধরে রেখেছে, সেখানে রয়েছে ট্রানশান লিমিটেড, ওয়ানপ্লাসসহ আরও কিছু নামি-বেনামী চীনা মোবাইল ব্র্যান্ড। বলতে গেলে দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর মোবাইলেই।
গত ১৫ জুন লাদাখেন গলওয়ান সীমান্তে ভারত-চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত ও আরও অনেক আহত হয়েছেন। এরপরই ভারতীয়রা দেশটিতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে।
আর এই সময়ে ভারতে চীনা মোবাইল ব্র্যান্ডগুলোর প্রধান নির্বাহীদেরও নানামুখী চাপ বেড়েছে বলে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।
টুইটারে ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা যে প্রচারণা চালাতে গিয়ে নানামুখী মন্তব্য দেখতে হচ্ছে তাদের। শাওমি, রিয়েলমির ভারতের প্রধান নির্বাহীকে চীনা পণ্য বর্জন করার কথা বলছেন অনেকেই। আবার অনেকেই সেখানে জানিয়ে দিচ্ছেন, তারা আর চীনা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান না। তার চেয়ে বরং স্যামসাংকে বেছে নিতে চাইছেন বলে এক খবরে বলেছে দেশটির এক সংবাদ সংস্থা আইএএনএস।
তবে বিশ্লেষকদের মধ্য রয়েছে ভিন্ন মত। তাদের অনেকেই মনে করেন, একটা জাতীয়তাবাদী আবেগ থেকে চীনা পণ্য বর্জন করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সেটা ভারতে এতো সহজেই সম্ভব হয়ে উঠবে না।
তাদের যুক্তি, ব্র্যান্ড চীনের হলেও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই উৎপাদন ও সংযোজন হয় ভারতে। যেখানে এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জাড়িয়ে আছে। এখন চীনা পণ্য বর্জন বলে এসব বর্জন করতে গেলে পথে বসতে হবে দেশের খাতটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা লাখ লাখ মানুষকে। তাহলে পণ্য বর্জন করে কোন ফায়দা হবে তখন?
এছাড়াও ভারত এখন অনেক পণ্যের যন্ত্রাংশ উৎপাদনও শুরু করেছে। যা স্থানীয় কারখানাগুলোতে ব্যবহার হয়। কিন্তু সবকিছুর পরও সেই ব্র্যান্ডগুলো চীনের। তাহলে এসব ক্ষেত্রে কী করবেন দেশটির মানুষ, সেটি নিয়েও সন্দিহান ওই বিশ্লেষকরা।
ইতোমধ্যে দেশটিতে ব্র্যান্ডগুলো সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ভারতে ফাইভজি ফোনের লাইভ স্ট্রিমিং করার কথা ছিল অপো’র। তারাও সেটিও পিছিয়ে দিয়েছে।
তাই এখনি বলা যাচ্ছে না, কোন অবস্থার দিকে যাচ্ছে ভারতের স্মার্টফোনের বাজার। তবে এটা ঠিক, এর একটা প্রভাব সামনের প্রান্তিকে হয়তো দেখা যাবে।
ইএইচ/জুন ২১/ ২০২০/ ১৫৪৬
আরও পড়ুন –