![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: নোকিয়া লুমিয়া ১৫২০ এর পর গুরুত্বপূর্ণ একটি ফোন হিসেবে বাজারে আসে লুমিয়া আইকন। উইন্ডোজ ফোনপ্রেমীদের কাছে বের হওয়ার পরপরই ভালো জনপ্রিয়তা পায় ফোনটি। গ্যালাক্সি এস৫ ও আইফোন ৫এস এর সাথে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। লুমিয়া ১৫২০ এর পাশাপাশি একেও এখন নোকিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ফোন বলা যায়।
ডিজাইন: লুমিয়ার আগের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ ফোন, যেমনও ১৫২০, ৯২০ এর সাথে এর বেশ সাদৃশ্য আছে। বিল্ড কোয়ালিটি সলিড এবং খুবই টেকসই। অবশ্য নোকিয়ার হাইএন্ড ফোন থেকে এর কম কিছু আশা করা যায় না। লুমিয়া সিরিজের নিজস্ব স্টাইলের পলিকার্বনেটের ফিনিশিং থাকায় অন্যান্য ফোনগুলোর মতো এটিও ধরতে আরামদায়ক মসৃণ। পুরুত্ব অবশ্য কিছুটা বেশি- ৯.৯ মিলিমিটার।
ডিসপ্লে: এতে আছে পাঁচ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে। স্ক্রিন রেজুল্যুশন ১০৮০*১৯২০ পিক্সেল। ৪৪১ পিপিআইর এই হাই কোয়ালিটি স্ক্রিনকে এক কথায় অসাধারণ বলা যায়। লুমিয়া সিরিজের সেরা স্ক্রিনগুলোর একটি বললে ভুল হবে না। স্ক্রিন গোরিলা গ্লাস ৩ হওয়ায় খুবই দৃঢ় ও ঘাতসহ।
আরও পড়ুন: নোকিয়া লুমিয়া ১৫২০ : উইন্ডোজের সেরা পারফরম্যান্স
কানেক্টিভিটি: এর বেসিক কানেক্টিভিটি সুবিধার মধ্যে আছে ওয়াইফাই, হটস্পট, এটুডিপি ব্লুটুথ, মাইক্রোইউএসবি ২.০। উচ্চগতির থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে। দ্রুত ফাইল ট্রান্সফারের প্রযুক্তি এনএফসি রয়েছে। এর বাইরে স্মার্টফোনের বেসিক সেন্সর, যেমন জিপিএস, প্রক্সিমিটি, অ্যাক্সেলেরোমিটার, জাইরো ইত্যাদি রয়েছে।
ক্যামেরা: এর প্রধান ক্যামেরা ২০ মেগাপিক্সেল। ক্যামেরার লেন্স কার্ল-জিস প্রযুক্তির, সাথে ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশ আছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের দাপটে নোকিয়া এখনও তাদের বড় একটি অংশের ক্রেতা ধরে রেখেছে দারুণ ক্যামেরা ও ক্যামেরা ইকোসিস্টেমের জন্য।
নিখুঁত ও সর্বোচ্চ কোয়ালিটির ছবির পাশাপাশি ছবি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মতো প্রচুর ফিচার রয়েছে। ফ্ল্যাশ, কালার ব্যালেন্স, শাটার স্পিড, আইএসও, এক্সপোজার ইত্যাদি ডিএসএলআরের মতো ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়া ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা ১.২ মেগাপিক্সেল।
কনফিগারেশন: কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ চিপসেট করা হয়েছে এতে, সাথে কোয়াড কোর ২.২ গিগাহার্জ ক্রাইট প্রসেসর। জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৩৩০। র্যাম ২ জিবি ও ইন্টারনাল মেম্বরই ৩২ জিবি।
পারফরম্যান্স: উইন্ডোজ ফোন ৮ এর ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম, যা ৮.১-এ আপগ্রেড করা যাবে। গতি ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের দিক থেকে উইন্ডোজ ফোনের মাইলফলক বলা যেতে পারে।
হাই গ্রাফিক্সের গেইম, দারুণ ভিডিও কোয়ালিটি, দ্রুতগতির অপারেটিং সিস্টেমের মতো যে বিষয়গুলো স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৪ বা এস৫ কে জনপ্রিয় করেছে, তার প্রায় সবকিছুই এতে আছে।
সফটওয়্যার: এই ফোনটির সাথে মাইক্রোসফট অফিসের অ্যাপ দেওয়া হয়েছে, যা অনেক ইউজারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
এ ছাড়া নোকিয়ার নিজস্ব বিভিন্ন অ্যাপ মিক্সরেডিও, নোকিয়া বিমার, ড্রাইভ+ ইত্যাদি রয়েছে। গুগলের সেবাগুলোর পরিবর্তে আছে মাইক্রোসফটের বিং অ্যাপগুলো।
একই সঙ্গে ৭ জিবি স্কাই ড্রাইভ স্টোরেজ ফ্রি রয়েছে এর সাথে।
ব্যাটারি: এর ব্যাটারি ২৪২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। শক্তিশালী এই ব্যাটারির টকটাইম প্রায় ১৬ ঘণ্টা, স্ট্যান্ডবাই টাইম ৪৩২ ঘণ্টা।
ফোনটি এখন পাওয়া যাচ্ছে ৬২ হাজার টাকায় টাকায়।
এক নজরে ভালো
– ডিজাইন, বিল্ড ও পারফর্ম্যান্সে উইন্ডোজ ফোনের শীর্ষে
– ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ফিচারে ভরপুর ক্যামেরা অ্যাপ
– ফ্রি মাইক্রোসফট অফিস
এক নজরে খারাপ
– আকারের কারণে অনেকের ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে
– মেমোরি কার্ড নেই
আরও পড়ুন:
নোকিয়া লুমিয়া ১৩২০ : ফ্ল্যাগশিপ না হলেও উইন্ডোজ ফোনের স্বাদ
নোকিয়া লুমিয়া ১৫২০ : উইন্ডোজের সেরা পারফরম্যান্স