![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অডিট আপত্তিতে বিটিআরসির পাওনা দাবি ইস্যুর সুরাহা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০০০ কোটি টাকা দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার বিটিআরসিকে এই টাকা দেবে অপারেটরটি।
এরআগে প্রথম দফায় চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনায় ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছিল জিপি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত তিন মাসের মধ্যে আরও ১০০০ কোটি টাকা দিতে নির্দেশনা দেন।
এখন এই টাকাই দিচ্ছে জিপি।
গ্রামীণফোনের এই টাকা জমা দেয়া অডিট আপত্তিতে বিটিআরসির পাওনা দাবি ইস্যুর সুরাহা প্রক্রিয়ার অংশ। যখন বিটিআরসির পাওনা দাবির অংক ‘স্যাটেলড’ হবে তখন সেই অংকের সঙ্গে এই ২০০০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হবে।
দুই দফায় এই ২০০০ কোটি টাকা পরিশোধের পর অডিট আপত্তির পাওনা দাবি ইস্যু সমাধানে নতুন করে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান জানান, বিটিআরসির অডিট আপত্তি ও পাওনা দাবি একটি বিরোধপূর্ণ বিষয়। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আদালতের বাইরে অথবা আদালতে গ্রামীণফোন এই বিরোধের নিম্পত্তি করতে আগ্রহী।
টাকা দেয়া-নেয়া উপলক্ষ্যে বিটিআরসিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার পরিস্থিতিতে তা বাতিল করা হয়েছে।
এরআগে প্রথম দফায় টাকা দিতে গিয়েছিলেন গ্রামীণফোনের ডাইরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত। সঙ্গে ছিলেন অপারেটরটির আরও কয়েকজন কর্মকর্তাও। বিটিআরসির পক্ষে সেই টাকা গ্রহণ করেছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, ছিলেন বিটিআরসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
সেবার টাকা দেয়া-নেয়ার পর বিটিআরসি এবং গ্রামীণফোন যৌথভাবে প্রেসমিট করেছিলেন।
অডিট আপত্তিতে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে মোট ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে।
এর মধ্যে বিটিআরসির অংশ ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি আর এনবিআরের অংশ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
বিটিআরসির পাওনা দাবিকৃত ৮ হাজার ৪৯৪ কোটির টাকার মধ্যে মূল টাকা হলো ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। বাকি ৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বিলম্ব ফি, যেটি মূল টাকার ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হয়েছে।
এডি/২০২০/মে১৮/১৬০০