![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা থেকে সরকারি সহায়তা ভোগীদের তালিকা নিয়ে একটি ডেটাবেইজ তৈরি করছে।
এই ডেটাবেইজ ব্যবহার করেই এরপর সরকারি সকল ত্রাণ ও নগদ সহায়তা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যসচিব এনএম জিয়াউল আলম।
গত মাস থেকে এই ডেটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এখনো কাজ চলমান আছে। তবে প্রথম দফায় এই ডেটাবেজ থেকে নম্বর নিয়ে ৫০ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে সরকারি নগদ সহায়তার আড়াই হাজার টাকা পাঠানোর জন্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে।
দেশের জনপ্রিয় চারটি এমএফএস অপারেটরদ–বিকাশ, নগদ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে এই টাকা পাঠানোর হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির চলমান লকডাউনের কারণে আয়ের পথ বন্ধ এমন দরিদ্র পরিবারের কাছে এই নগদ সহায়তার টাকা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো শুরু হয়েছে।
৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ডাক বিভাগের এমএফএস অপারেটর নগদ ১৭ লাখ পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছাবে। বিকাশের মাধ্যমে সহায়তা যাবে ১৫ লাখ পরিবারে। রকেট ১০ লাখ পরিবারকে এই সেবা দেবে। আর শিউরক্যাশের মাধ্যমে টাকা যাবে আট লাখ পরিবারের কাছে।
দুর্যোগ ব্যস্থাপনা এবং ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
সরকার নগদ সহায়তার টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আড়াই হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে যে খরচ সেটির অংক যোগ করেই দরিদ্র পরিবারগুলোকে পাঠানো হচ্ছে। আর এই খরচের খানিকটা বহন করবে এমএফএস অপারেটরগুলো। আর খানিকটা বহন করবে সরকার।
তাছাড়া সম্পূর্ণ ডেটাবেইজ তৈরির কাজ শেষ হলে এতে আনুমানিক এক কোটি ২০ লাখ সুবিধা ভোগী পরিবারের নাম থাকতে পারে। যারা পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেইজ হয়ে গেলে একটি করে কিউআর কোড যুক্ত কার্ড পাবেন।
পরবর্তীতের এটি ব্যবহার করে পরবর্তীতে সরকারি খাদ্য সহায়তা পেতে পারবেন তারা-যেটি আসলে ত্রাণসহায়তা তছরুপের অভিযোগ মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বলেন, এমন একটি ডেটাবেইজ তৈরির পরিকল্পনা সরকারের আরও আগেই ছিল। কিন্তু এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজগুলোকে শুধু এগিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ত্রাণ বা সরকারি যে কোনো সহায়তা বিতরণের নানা অনিয়মের কথা সব সময়ই শোনা যায়। এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়েও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ডেটাবেইজ তৈরি করে কিউআর কোড যুক্ত কার্ড একবার সরবরাহ করা গেলে তখন আর এই অভিযোগ আসবে না।
জানা গেছে, ডেটাবেইজের জন্যে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত করা হচ্ছে। তবে যাদের এই তথ্য নেই তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে না।
জিয়াউল বলেন, ব্যক্তি পরিচয় নিশ্চিত করার জন্যে জাতীয় পরিচায়পত্র এবং মোবাইল নম্বরের কোনা বিকল্প নেই। তবে এই দুটি নম্বরই সকলের আছে এমনটা নাও হতে পারে। সুতরাং যাদের নেই তাদেরকে এখন আমরা বাদ দিচ্ছি না।
জেআই/ইএইচ/মে১৫/২০২০/১২০০