৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলো

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : করোনার প্রভাব মোকাবেলায় আসছে বাজেটে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাঁচ সংগঠন।

বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, তারা ইতোমধ্যে যৌথভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব দাখিল করেছেন।

করোনা সময়ে খাতটির উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং ২০২০-২১ সালের বাজেটে দাবি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি শহিদ-উল মুনির, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার। 

Techshohor Youtube

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  প্রধানমন্ত্রীর রপ্তানিমুখি শিল্প, সেবা খাত ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে ঘোষণা করলেও এর সুবিধা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিতে পারছে না। ব্যাংকগুলো তাদের কাছ থেকে আগে ঋণ নেওয়া না থাকলে কিংবা বাড়ি অথবা জমি মর্টগেজ না রাখলে লোন দেবে না বলছে।

এজন্য এ খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিতে পারে সেজন্য সরকারকে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের আবেদন করেছেন তারা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো ২ শতাংশ সরল সুদে ১ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ নিতে পারে সে বিধান থাকা দরকার এ ঋণে।

সংগঠনগুলো তাদের আবেদনে সফটওয়্যার ও আইটিইএসে আয়কর অব্যাহতির সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সহজীকরণ, আইটিইএসে বর্তমান সংজ্ঞায় বাদপড়া বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি, ই-কমার্স ও আইএসপি সার্ভিসকে আইটিইএসের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা, ইন্টারনেট সেবায় ৫ শতাংশ ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেয়া , ই-কমার্স খাতকে কর্পোরেট কর্পোরেট ট্যাক্স এবং ভ্যাট থেকে ৩ বছরের জন্য অব্যহতি দেয়া এবং ব্যাংক ও এনবিআর বিষয়ে ই-কমার্সের আলাদা সংজ্ঞা চেয়েছে।

করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আইটি সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের যেসব বিল আটকে রয়েছে সেগুলো অতি দ্রুততার সাথে পরিশোধের বিষয়েও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনগুলো নেতারা বলছেন, করোনার মত বৈশ্বিক মহামারীর ফলে গোটা পৃথিবীর সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য ও উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেলেও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার মতো বন্ধ হয়নি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতগুলো। বরং মানুষ তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া উদ্যোগ যেমন ই-কর্মাসভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য, অনলাইন প্লাটফর্মের সাহায্যে অফিস, দূরবর্তী শিক্ষা, যোগাযোগ, আর্থিক সাহায্য, ডোনেশান ক্যাম্পেইন, তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিনের সাহায্যে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এই তথ্যপ্রযুক্তিতে নির্ভর করেই। দেশে অনলাইন কোর্টের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পর্যন্ত চালু হয়ে গেছে।

‘যেখানে স্বাস্থ্য ও কৃষির পরে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোর, সেখানে এই খাতের বরাদ্দকে বাতিল বা সংকুচিত যেন না করা হয়’ বলছিলেন তারা।

এডি/২০২০/১৫৪০/মে১৪

আরও পড়ুন —

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুদান

তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার খাতের রপ্তানিকারকরা প্রণোদনা পাচ্ছেন

*

*

আরও পড়ুন