প্রণোদনা না দিলে ব্যাপক চাকরিচ্যুতির আশংকা বিপিও খাতে

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গত মার্চ থেকে নিয়মিত বিল না পাওয়ায় দেশের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং খাতে বড় সংখ্যায় চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

করোনাভাইরাসের কারণে খাতটির প্রায় ৫০ হাজার কর্মীর বড় একটি অংশই চাকরি  হারাতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপিও খাতের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)

প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের বিপিও শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই বাক্কো বর্তমান করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত সকল উদ্যোগের সাথে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছে।

Techshohor Youtube

সংগঠনটি ক্রান্তিকাল উত্তরণে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে এই শিল্পের প্রতিবন্ধকতা, প্রতিবন্ধকতা নিরূপণের উপায় এবং নানান বিষয়ে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপন এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। আর এতে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। 

গত মার্চ মাস থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে বিল পাচ্ছে না এবং একইসাথে ক্রেতারা তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিচ্ছে। ফলে এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বিপুল সংখ্যক জনবলের বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে বলে জানায় বাক্য। 

বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকার কর্তৃক আর্থিক প্রণোদনা অথবা সহজ শর্তে জামানতবিহীন ও সুদবিহীন ঋণ সুবিধা প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিরূপ অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৫টি জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাক্কো, বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি এবং ই-ক্যাব তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারের কাছে আগামী ৬ মাসের জন্য মোট ১৯৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) চেয়েছে বলেও জানান তিনি। 

ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্রকল্প গ্রহণ করলেও ব্যাংকগুলোর নানা জটিলতায় সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে বিপিও শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের গৃহীত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজগুলো থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে নানা জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন বিভিন্ন খাত ভিত্তিক সহজ নীতিমালা এবং এর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি জানান তারা।

বাক্য সভাপতি বলেন,  আমরা জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বিপিও শিল্পের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে সকল ব্যাংকে অবহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাই। 

এছাড়াও সংগঠনটি বলছে, দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ বিদেশী কোম্পানিগুলোকে না দিয়ে, দেশীয় বিপিও বা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হলে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা আরও সহজ হবে। এমনকি হাজার হাজার বেকাররের কর্মসংস্থান তৈরি করাও সম্ভব হবে। 

ইএইচ/মে০৪/২০২০/১৬৫৫

আরও পড়ুন – 

পাড়ার ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানও আর্থিক প্রণোদনা চায়

চাকরি প্রত্যাশী হাজার তরুণ বিপিও সামিটে

বিপিও খাতে আয়ের সঙ্গে বেড়েছে কর্মসংস্থানও

বিপিও ও ই-কমার্স রফতানিতে জিডিপিআরের প্রভাব

*

*

আরও পড়ুন