![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাই বলে ক্লাস বা পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ নেই। অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে পাঠদান চলছে।
অনলাইনভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রমের ধারণাটা পুরনো হলেও আগে খুব সীমিত পরিসরে ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরবন্দী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বা শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে এখন এ পদ্ধতি ব্যাপক পরিসরে প্রয়োগ হচ্ছে। অনেকেই এ পদ্ধতির সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত হয়েছে এবং খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। অনেকেই এই অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে অভ্যস্ত। সাধারণ অবস্থায় আমরা জানি, কোনো কিছু জনপ্রিয় বা গ্রহণযোগ্য হয়ে গেলে সেটাই টেকসই বা স্থায়ী হয়ে যায়। যদি তা-ই হয়, তাহলে বলা যায়, করোনা পরবর্তী অবস্থায়ও পাঠদান কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বড় ও ব্যাপক পরিসরে চলমান থাকবে। বিশেষজ্ঞদেরও একই মত।
অনেকের মত, শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হয়ে গেলে খরচ কমে আসবে, আর গ্রীষ্মের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকার সময়টাতেও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সঙ্গে কম-বেশি যুক্ত থাকতে পারবে।
শিক্ষাবিদ স্টিভেন ম্যাককিনন বলেন, স্যোশাল মিডিয়া বা অনলাইন এখন জীবনের বড় একটি অংশ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আগামীতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে? শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এটা জরুরী যে কিভাবে তারা অনলাইনকে শিক্ষার কাজে লাগাবে, কিভাবে অনলাইনের সূত্রগুলো থেকে শিখবে’
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনসাইড হায়ার এডের লেখক ও নিউ হয়র্ক ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস-ডিন রবার্ট উবেল বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা আজকাল খুব স্বাভাবিক ও ইতিবাচক, বিশেষ করে তাদের জন্য যাদের পক্ষে নিজের কাজ সামলিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস করাটা অসম্ভব। অনলাইন পদ্ধতি হওয়ায় যে কেউ রাতেও তার সুবিধামতো সময়ে ক্লাস করতে পারেন, প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ বা রিসোর্স সংগ্রহ করতে পারেন। কর্মজীবি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছে অনলাইন।’
সূত্র : ইন্টারনেট, টিআর/এপ্রিল ২৮/২০২০/১৩০১
আরও পড়ুন –
গৃহবন্দী বাচ্চাদের জন্য মাইনক্রাফটে শিক্ষামূলক কনটেন্ট