![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যতই বাড়ছে ততই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে কন্টাক্ট ট্রেসিং প্রক্রিয়া।
বাধ্য হয়ে ভারত, বাংলাদেশের মতো বিশাল ও ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যার দেশগুলো চলে যাচ্ছে লকডাউনে। তবে এই লকডাউন যে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয় সেটি বুঝতে অনেকেরই আর বাকী নেই। তাই আলোচনা শুরু হয়েছে কীভাবে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল করা যায়।
এই ইস্যুতে অ্যাপভিত্তিক একটি উদ্ভাবনী সমাধান দিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা মনে করেন আইটির এই যুগে করোনা মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে জিপিএস ডাটা। এই ডাটার পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে শতভাগ কন্টাক্ট ট্রেসিং সম্ভব হবে।
তারা মনে করেন এমন একটি অ্যাপ নির্মাণ করা সম্ভব যেটি মানুষের চলাফেরার ডাটাকে পর্যালোচনা করে বলে দেবেন তিনি কোনও সম্ভাব্য আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন কিনা। এসে থাকলে তার কী করা উচিত।
বিষয়টি সহজে বুঝার জন্য মনে করা যাক একটি এলাকায় দুই হাজার মানুষ আছে। দুই হাজার জন মানুষ মোটামুটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। হঠাৎ একজন অসুস্থ বোধ করলেন। অনলাইনে একটি প্রাথমিক করোনা টেস্ট নিয়ে দেখলেন তিনি কোভিড ১৯ এর উপসর্গ দেখাচ্ছেন। ঠিক তখনই গত কয়েকদিনে তার সংস্পর্শে যতজন মানুষ এসেছেন সবার কাছে একটি মেসেজ চলে যাবে যে আপনার সংস্পর্শে আসা একজন ব্যক্তি (পরিচয় গোপন রাখা হবে) করোনার উপসর্গ দেখাচ্ছে। ওই ব্যক্তির টেস্টের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত আপনি নিজেকে কোয়ারেন্টিন করে ফেলুন। টেস্টের ফল আসলে আপনাকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।
মেসেজ চলে যাবে ওই ব্যক্তির অফিস এবং তিনি যেসব গাড়িতে উঠেছেন তাদের কাছেও। তাদেরকেও বলা হবে ডিসইনফেক্ট বা সংক্রমণমুক্ত করার জন্য।
এমন একটি অ্যাপ এখন হাজার হাজার জীবন বাঁচাতে পারে বলেই মনে করেন গবেষকরা। গবেষকরা মনে করেন এই ডেটা থেকে একটি রিস্ক রেটিং সিস্টেমও ডেভেলপ করা যেতে পারে। যা দেখে পাবলিক প্লেসগুলোতে মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যাবে।
তবে গবেষকরা বলছেন এমন একটি অ্যাপের সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একটি পপুলেশানের বেশিরভাগ মানুষের এই অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
যুক্তরাজ্যের এনএইচএসের তরফ থেকে বলা হয়েছে তারা প্রযুক্তিটি সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করে দেখছে।
উল্লেখ্য, গুগল ও অ্যাপল মিলিতভাবে একটি কন্টাক্ট ট্রেসিং টুল নির্মাণ করতে কাজ করছে।
সূত্র : বিবিসি, এমআর/এপ্রিল ১২/২০২০/০৭৫০