![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার খাতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতায় প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
করোনার প্রতিঘাত মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রপ্তানিখাতের কর্মীদের ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার আওতায় গার্মেন্টস শিল্পসহ দেশের সব রপ্তানিমুখী খাত এই প্রণোদনা পাবে।
তিনি তাঁর ঘোষণায় বলেছেন , ‘রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।’
সে হিসেবে বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প এই প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্য হবে।
সাধারণভাবেই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সদস্য কোম্পানি যারা সফটওয়্যার, আইওটি ডিভাইস ও সেবা রপ্তানি করেন তারা এই অর্থ পাবেন।
প্রণোদনা পাবেন হার্ডওয়্যার খাতের রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলোও যারা তাদের পণ্য রপ্তানি করেন। বিশেষ করে ওয়ালটনের মতো কোম্পানি যারা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ফ্রিজের মতো প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি করেন।
এর আগে করোনার প্রভাবে টিকে থাকার ঝুঁকির আশংকায় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে সচল রাখতে কর্মীদের বেতন অনুদানসহ বেশ কয়েকটি দাবির কথা জানিয়েছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে এসব দাবিদাওয়া ঠিক করে সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে বলে টেকশহরডটকমকে জানান তিনি।
শুক্রবার সৈয়দ আলমাস কবীর টেকশহরডটকমকে বলেন, ‘সফটওয়্যার শিল্প খাতের জন্য ৬০০ কোটি টাকার মতো অনুদান লাগবে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, টাকাটা আমরা কীভাবে পেতে পারি।’
‘ আমরা বিশেষ একটা লোন চাইছি। জামানতবিহীন সফটলোন। দুই শতাংশ সুদের ওই লোন সহজে যেন পেতে পারে কোম্পানিগুলো তার ব্যবস্থা করা’ বলছিলেন তিনি।
বেসিস সভাপতি জানান, এখন সরকারি কাজগুলো যেনো তাড়াতাড়ি স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার অনলাইন এডুকেশন চালু, হেলথ কেয়ার, এন্টারটেইনমেন্ট সেবা দিতে কাঠামো ও কনটেন্ট তৈরি করবে। এগুলো তৈরি করার বিষয়ে সরকার দ্রুত দিক নির্দেশনা দিক। মুজিব বর্ষের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো দ্রুত দিয়ে দিলে কোম্পানিগুলো কাজে চলমান থাকবে, নতুন কাজ পাবে। লোকাল মার্কেট বাড়বে, রেভিনিউ ও ক্যাশফ্লো ঠিক থাকবে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার খাত উচ্চ অগ্রাধিকার শিল্প খাত হিসেবে শিল্পনীতিতে রয়েছে। এছাড়া সৃজনশীল শিল্পেও কম্পিউটার ও সফটওয়্যার খাত রয়েছে।
এডি/২০২০/মার্চ২৭/১৫৩০