করোনায় বাসায় আটকে শিশুরা : অনলাইনে যা দেখতে দিতে পারেন

ল্যাপটপে ভিডিও দেখছে এক শিশু। ছবি : ইন্টারনেট

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বাচ্চা কতক্ষণ ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে তা অনেক অভিভাবকই পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।

ক্ষেত্র বিশেষে নির্ধারণও করে দেন। তবে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই স্কুল কলেজ সব বন্ধ। এমন অবস্থায় বাচ্চারা গৃহবন্দী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেছে।

এছাড়াও, অনেক দেশে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। তাই সারা সকাল স্ক্রিনের সামনেই তাদেরকে থাকতে হচ্ছে। ক্লাস শেষেও বিনোদনের জন্য ওই স্ক্রিনই ভরসা। এমন অবস্থায় অভিভাবকরা কিছু করতেও পারছেন না।

Techshohor Youtube

তবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তার কিছু দেখছেন না কমনসেন্স মিডিয়ার এডিটরিয়াল ডিরেক্টর সিয়েরা ফিলুসি। তার মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেলেও বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি হবে না। শুধু বয়স অনুযায়ী তাদেরকে কনটেন্ট বেছে দিতে হবে।

প্রি-স্কুলের বাচ্চাদের জন্য

প্রি-স্কুল স্কুলের বাচ্চাদেরকে বাসায় কোনো হোমওয়ার্ক করতে হচ্ছে না। তাদেরকে ব্যস্ত রাখতে ডোরা দ্য এক্সপ্লোরার ও ড্যানিয়েল টাইগার নামের দুটি কার্টুন দেখানো যেতে পারে।

এছাড়াও, কিছু শিক্ষামূলক অ্যাপ, টিভি অনুষ্ঠান, ভিডিও গেইম ও বইয়ের লিস্ট করেছে কমনসেন্স মিডিয়া। এসবের বাইরে খান অ্যাকাডেমিঅরিজেনেটর থেকেও বাচ্চাদের উপযোগী কনটেন্ট পাওয়া যাবে।

সাইকোলজির প্রফেসর জিওরজেন ট্রোসেথ জানিয়েছেন, বাচ্চা যাতে একঘেয়েমিতে না ভোগে তা নিশ্চিত করতে টিভি ছেড়ে দিতে হবে। ভিডিও চ্যাটে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও জানান, কনটেন্ট বাছাই করে দিলে বা কোনো কিছু শিখতে উৎসাহ দিলে বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শিখতে পারে।

কিশোর বয়সীদের জন্য

বয়সে যারা একটু বড় তাদের স্ক্রিন টাইম এখন অনেক বেশি। কারণ ক্লাস শেষে হয় তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করে নয়তো গেইম খেলে। তাই তাদের স্ক্রিন টাইম দুই ধরণের। বিশেষজ্ঞদের মতে এ দুটোই এখন দরকার।

এ ব্যাপারে এক কিশোরী বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সে স্ক্রিন টাইমের কোনো হিসাব দেখতে চায় না। গৃহবন্দী থাকার সময়টাও বরং সে উপভোগ্য করে তুলতে চায়।

কিশোর বয়সীদের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলার ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ না করতে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তবে কোনো অসৎ সঙ্গে যাতে না পড়ে সে দিকেও নজর রাখতে বলেছেন।

এজেড/ মার্চ ২২/২০২০/১৭৫২

*

*

আরও পড়ুন