![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন হিসেবে নিজেদের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নতুন নেতৃত্ব।
সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ বিসিএস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নব নির্বাচিত নেতারা এই প্রত্যয়ের কথা জানান।
বিসিএসের ২০২০-২২ মেয়াদের নির্বাচনে জয়ী ৭ পরিচালকের পদবন্টন, পরিচিতি এবং নির্বাচন বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এটি সঞ্চালনা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টিআইএম নূরুল কবীর।
সম্মেলনে বিসিএসের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য নয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সংগঠনটি যথাযোগ্য ভূমিকা রাখা প্রসঙ্গে টেকশহরডটকমের প্রশ্নের উত্তর দেন মো. শাহিদ-উল-মুনীর, যিনি পদবন্টনে নতুন কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, তারা ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন। যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিসিএসকে নতুন রূপে দেখা যাবে। সংগঠনটির ঐতিহ্য ফেরাতে এসব কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
‘এখনও প্রান্তিক পর্যায়ে হার্ডওয়্যার খাতকে নেয়া যায়নি। এজন্য অনেক সীমাবদ্ধতা অবশ্যই আছে। এখনও প্রতিটি জায়গায় অটোমেশন করা যায়নি। যা খুব প্রয়োজন। শুধু যে ব্যবসয়িক বা গ্রাহক বাড়াতে প্রয়োজন তা নয়, এটি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ যে ভিশন সেটি বাস্তবায়নেও প্রয়োজন। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে আমরা কিভাবে আরও কাজ করতে পারি সেটি ভাবতে হবে’ বলছিলেন মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
তিনি পদবন্টনে নতুন কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।
সুজন বলেন, ব্যবসায়ী, গ্রাহক সবার জন্য বিসিএসকে নতুন রূপে হাজির করতে চাই, যেন সবাই উপকৃত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেন সংগঠনটির সুনাম বাড়ে তার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন তারা।
নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব হয়েছেন মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো.কামরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং পরিচালক হয়েছেন মোশারফ হোসেন সুমন ও মো. রাশেদ আলী ভূঁঞা।
দেশের মানুষের কাছে কম্পিউটারসহ তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যকে পরিচিত করা, হাতের নাগালে এনে দেয়ার ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অবদান ব্যাপক। বলা চলে, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটির হাত ধরেই দেশের কম্পিউটার যুগ সম্প্রসারিত হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে কম্পিউটার পণ্য আমদানিকারক ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান, সারাদেশে এসব পণ্যের খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতা, স্থানীয় তথপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদক, সফটওয়্যার ডেভেলপার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা এই সংগঠনটির সদস্য।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সংগঠনটি নিজেদের কার্যক্রম হালনাগাদ, সম্প্রসারণ ও কৌশলী করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে থাকে। এখান হতেই তৈরি হয় সফটওয়্যার খাতের আলাদা সংগঠন বেসিসসহ আরও খাতভিত্তিক সংগঠন।
বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শুধু বেসিসের নামধাম কার্যক্রম বিসিএসের চেয়ে অনেকখানি ছাড়িয়ে গেছে।
বিভিন্ন সময় বিসিএসের নেতৃত্বে ব্যাপক কোন্দলও সংগঠনটির ম্লান হয়ে যাওয়া ত্বরান্বিত করেছে।
বিসিএসের নতুন শাখা কমিটি :
বরিশাল শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান সৈয়দ মো.রইচ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আলা ফরিদ, সেক্রেটারি মো. জাহিদ হাসান, জয়েন্ট সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম, সদস্য মো. খোরশেদ আলম এবং মো. এনামুল হক খান।
চট্টগ্রাম শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান মো. সুফিয়ান আলী, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহ নেওয়াজ, সেক্রেটারি মো. দিদারুল আলম চৌধুরী, জয়েন্ট সেক্রেটারি সাদেক মো. ইমতিয়াজ, কোষাধ্যক্ষ সুমন চৌধুরী, সদস্য মুহাম্মদ নূরুল আমিন এবং মো. দিদারুল ইসলাম।
কুমিল্লা শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান মো. ফারহাদ উল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ নাসির উদ্দিন সুমন, সেক্রেটারি এম এ বাতেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. সুলতান মাহমুদ টুটুল, কোষাধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস সায়েম ভূঁইয়া, সদস্য মো. নায়মুল হাসান ভূঁইয়া এবং মো. জামাল খান তানভীর।
খুলনা শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান মো. নাজমুল আহসান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান, সেক্রেটারি এসকে. শহিদুল হক সোহেল, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মুন্সি আরিফুজ্জামান, সদস্য শেখ শাহিনুর আলম সিদ্দিকী এবং সায়েদ বায়েজিদ হোসাইন লাভলু।
যশোর শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম দেব নাথ (রতি), ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেইন, সেক্রেটারি কে এম আকতারুজ্জামান, জয়েন্ট সেক্রেটারি আসুতোষ পাল, কোষাধ্যক্ষ মো. তামিম আহমেদ, সদস্য প্রসেনজিৎ দাশ এবং সোহেল রানা।
ময়মনসিংহ শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোত্তালিব দারবাড়ি, সেক্রেটারি মো. জামাল হোসেইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. আনোয়ার হোসেইন(রনি), কোষাধ্যক্ষ রবিন্দ্র চন্দ্র তালুকদার(চয়ন), সদস্য মো. ইসমাইল হোসেইন এবং মো. জহির উল্লাহ।
রাজশাহী শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান এস.এম. মুশফিক-উস-সালেহীন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল মোয়েজ ডলার, সেক্রেটারি এস.এম. লতিফুল বারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি এন.এম. আতিকুল হক, কোষাধ্যক্ষ কেইচ. জাহাঙ্গির সিরাজ রানা, সদস্য আশরাফ সিদ্দিক নুর এবং মো. আরিফ হোসেইন ।
সিলেট শাখা কমিটিতে চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ বিন আব্দুর রশিদ, সেক্রেটারি এ.এস.এম.জি. কিবরিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি তারেক হাসান, কোষাধ্যক্ষ পার্থ চৌধুরী, সদস্য মো. মসনুল করিম চৌধুরী এবং মো. সোলায়মান আহসান তানভীর।
কেন্দ্রীয় ও শাখার নতুন কমিটি ১ এপ্রিল দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
এডি/২০২০/মার্চ১৭/১১০৭