![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা আছে। সামনে আসছে ফাইভজি। এমন পরিস্থিতিতেও মোট বিক্রি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশের বেশি টুজি সেট।
টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তির এ সময়ে টুজি সমর্থিত হ্যান্ডসেটের অধিক ব্যবহার ইতিবাচক নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি।
এ কারণে টুজি হ্যান্ডসেটের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছে সংস্থাটি। সম্প্রতি তারা সব হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের এক চিঠিতে টুজি পরবর্তী ফোনের ব্যবহার বাড়াতে সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে হ্যান্ডসেট উৎপাদক ও আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, নিয়ম বেড়াজালে এমন কিছু গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে মোবাইল ফোন অপারেটররা বিটিআরসি’র এই চিঠিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, তারা বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করলেও সে অনুসারে থ্রিজি ও ফোরজি’র গ্রাহক তৈরি হয়নি। অথচ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে স্মার্টফোনের কোনো বিকল্প নেই।
হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুসারে, গত বছর আমদানি এবং স্থানীয় সংযোজন মিলে সাকুল্যে দেশে সোয়া তিন কোটি হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ৭৬ শতাংশ বা আড়াই কোটিই টুজি হ্যান্ডসেট।
অন্যদিকে বিক্রি হওয়া হ্যান্ডসেটের মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ বা ৭৮ লাখ আছে স্মার্টফোন।
এ তথ্যের পর কমিশন বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান বলছে দেশে আমদানি করা বা উৎপাদন হওয়া হ্যান্ডসেটের মধ্যে টুজি সমর্থিত ফিচার ফোনই বেশি। অথচ অনেক আগে দেশে থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। সরকারও ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভজি চালুর পরিকল্পনা করছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিটিআরসি টুজি হ্যান্ডসেট বিক্রি এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তবে হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কেরই কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। যে কারণে থ্রিজি বা ফোরজি নেটওয়ার্কের মধ্যে থেকেও গ্রাহক গুণগত সেবা পান না।
এ কারণে প্রয়োজন থাকলেও অনেক গ্রাহক স্মার্টফোন কিনছেন না। তাছাড়া স্মার্টফোনের ব্যবসার ক্ষেত্র এখনো খুবই সীমিতি, যে কারণে দেশে ১০ কোটি কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও স্মার্টফোনের বিক্রি অনেক কম।
বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যে হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছেন ‘নিরুৎসাহিত’ বলতে আসলে কি বোঝানো হয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও এর কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
জেডএ/আরআর/মার্চ ১০/২০২০/২.১৭