![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেরিতে হলেও গ্রামীণফোন সঠিক বিষয়টি বুঝতে পেরেছে বলে মনে করছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
রোববার গ্রামীণফোনের ১০০০ কোটি টাকা গ্রহণ করে তিনি অপারেটরটিকে ধন্যবাদ জানান।
এদিন দুপুরে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে গ্রামীণফোনের ডাইরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এই টাকার পে-অর্ডার তুলে দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের হাতে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা জনগণের টাকা। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দেই। তারা দেরিতে হলেও বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। অপারেটরটির বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ আইনের কারণে বাধ্য হয়ে করেছি, আমাদের নিজস্ব কোনো অভিপ্রায় ছিলো না গ্রামীণফোনের কিছু করি। তারা বড় অপারেটর, এই সেক্টরে তাদের অনেক অবদান আছে সেটি আমরা সবসময় স্বীকার করি’
‘কোথাও আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে সমস্যা হয়েছিল। তারা মনে করেছিল কোর্টে গেলে হয়তো কিছু কম পাবো, বিলম্ব করতে পারবো। অনেক পরিমাণ টাকা, বিলম্ব করলে হয়তো ব্যবসায়িক লাভ হবে। রেগুলেটর ও অপারেটর মিলে যা মিমাংসা করতে পারবো অন্য কোনো জায়গায় গিয়ে তাতে একটা লাভ হয় না’ বলছিলেন তিনি।
জহুুরুল হক বলেন, ‘আমি একটু বুঝি, শেষে হলেও মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হতে প্রপ্রার আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে এসেছে গ্রামীণফোন’
ভবিষ্যতে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দেখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রেগুলেটর হিসেবে এখান হতে গ্রামীণফোনের যা প্রাপ্য তা দেবো, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই ’
এনওসি বন্ধসহ গ্রামীণফোনের উপর আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার কথা জানান তিনি।
গ্রামীণফোনের ডাইরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গ্রামীণফোন তার আইনগত অবস্থানের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ছাড়াই আপিল বিভাগের আদেশে বিটিআরসিকে সমন্বয়যোগ্য ১০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। গ্রামীণফোন এখনও বলছে, এটি একটি বিরোধপূর্ণ অডিট এবং গ্রামীণফোন আদালত অথবা আদালতের বাইরে এই অডিটের গঠনমূলক সমাধান করতে চায়।
‘অডিট বিরোধ সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে গ্রামীণফোন আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং প্রতিষ্ঠানটি আশা করে ব্যবসায়িক পরিবেশ খুব দ্রুত স্বাভাবিক হবে’ বলেন হোসেন সাদাত।
অডিট আপত্তিতে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে মোট ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে।
এর মধ্যে বিটিআরসির অংশ ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি আর এনবিআরের অংশ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
বিটিআরসির পাওনা দাবিকৃত ৮ হাজার ৪৯৪ কোটির টাকার মধ্যে মূল টাকা হলো ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। বাকি ৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বিলম্ব ফি, যেটি মূল টাকার ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হয়েছে।
এডি/২০২০/ফেব্রুয়ারি২৩/১৬০০
আরও পড়ুন –
বিটিআরসিকে ১০০০ কোটি টাকা দিল গ্রামীণফোন