![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার। বছরে শেষ অর্ধে তা বেড়েছে ৩২ লাখ ২৯ হাজার।
একই অবস্থা নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রেও। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যেখানে ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার সিম বিক্রি হয়েছে, সেখানে পরের ছয় মাসে এ সংখ্যা ৩৮ লাখ।
জুলাই থেকে ডিসেম্বরের এই ধাক্কার কারণেই গত কয়েক বছর পর দেশের টেলিকম খাতের বিকাশ কিছুটা ধীর হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শেষ অর্ধের পুরোটাই গ্রাহক ও আয় বিচারে শীর্ষ দুই অপারেটর নানা ধরণের বাধ্যবাধকতার মধ্য পড়ে। অডিট বিষয়ক পাওনার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধানিষেধের মধ্যে সময় পার করেছে তারা।
এ কারণে নতুন সংযোগ বিক্রি বা কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
২০১৯ সালে সব মিলে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বেড়েছে ৮০ লাখ ৮০ হাজার। নতুন সিমি বিক্রি হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৩ হাজার। ২০১৮ সালে এই সংখ্যাগুলো আরও বড় ছিল।
বিটিআরসির হিসাব বলছে, ২০১৮ সালে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছিল এক কোটি আট লাখ ৬৫ হাজার। গত বছরে তা এক তৃতীয়াংশ নেমে গেছে।
কার্যকর মোবাইল সংযোগের ক্ষেত্রে কমে যাওয়া অংকটা আরও বেশি। ২০১৮ সালে এক কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার কার্যকর সিম মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়, সেটি ২০১৯ সালে দাঁড়ায় মাত্র ৮৫ লাখ ৮৩ হাজারে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার ২০১৯ সালের যে গ্রাহক হিসাব প্রকাশ করেছে সেখানেই পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
সর্বশেষ এ পরিসংখ্যান অনুসারে, গ্রামীণফোন বছর শেষ করেছে সাত কোটি ৬৪ লাখ ৬২ হাজার কার্যকর সংযোগ নিয়ে। বছর শেষে রবির সংযোগ ছিল চার কোটি ৯০ লাখ চার হাজার।
বাংলালিংকের বছর শেষ হয়েছে তিন কোটি ৫২ লাখ ৩৯ হাজার কার্যকর সংযোগে। রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক অবশ্য শেষ দিকে এসে চমক দেখিয়ে ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার কার্যকর সংযোগে বছর শেষ করেছে।
একই হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষে দেশে কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ আছে নয় কোটি ৯৪ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত আছেন নয় কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার গ্রাহক।
বছর শেষে দেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগ দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। ধুঁকতে ধুঁকতে টিকে থাকা ওয়াইম্যাক্স টিকে আছে পাঁচ হাজার সংযোগ নিয়ে।
জেডএ/আরআর/২২ জানুয়ারি/২০২০/১৩.৩১