![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : হ্যাকাররা এখন লাখ লাখ ডলার আয় করছে বৈধ পথেই। কিছুদিন আগেও এভাবে আয় অনেকেই কল্পনা করতেন না।
মূলত সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি পণ্য ও সেবার উন্মোচনের পর বা নতুন ফিচার আনার পর সেটার ত্রুটি খুঁজে দেবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। সেই পুরস্কারের অর্থ দেওয়া হয় যারা সেই ফিচার বা সফটওয়্যারের ত্রুটি ধরিয়ে দেন তাদের।
এমন হ্যাকারের সংখ্যা বিশ্বে এখন বাড়ছে বলে একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রনাভ হিভারেকার ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে চেষ্টা করেছিলেন ফেইসবুকের সর্বশেষ ফিচারের মধ্যে দুর্বলতা কোথায় সেটি খুঁজে করতে। তিনি একজন ফুল টাইম হ্যাকার। তার আট ঘণ্টা আগে ফেইসবুক ঘোষণা করেছিলো যে, তারা ভিডিওসহ কমেন্ট পোস্ট করার সুযোগ দেবে ব্যবহারকারীদের।
প্রণাভ মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেই হ্যাকিং করতেন। যেসব দুর্বলতা বা ভুল অপরাধীদের হাতে পড়লে তারা একটি কোম্পানির নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে পারে ও তথ্য উপাত্ত চুরি করে নিতে পারে।
তিনি কোড পেলেন এবং সেই কোডে দুর্বলতা ছিলো যা ফেইসবুক থেকে যে কোনো ভিডিও ডিলিট করে দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রণাভ বলেন, আমি দেখলাম যে আমি কোড নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারি, এমনকি ইচ্ছে করলে মার্ক জাকারবার্গ আপলোড করেছেন এমন ভিডিও ডিলিট করে দিতে পারি।
পরে সেই দুর্বলতা সম্পর্কে ফেইসবুককে জানান প্রতিষ্ঠানটির বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এরপর দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি কয়েক হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পান।
বিশ্বের অনেক দেশের তরুণ হ্যাকাররা এখন বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামকে নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের ত্রুটি খুঁজে বের করেন। এর মাধ্যমে তারা যে অর্থ পান সেটাই তাদের আয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যারা এমন হ্যাকের কাজে জড়িত বা হ্যাককে যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাদের ইথক্যাল হ্যাকার বলে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।
কোনো ভাবে যদি বড় কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কয়েক হাজার থেকে লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় একেবারে বৈধ পথে।
অনেকে দেশের আইনে হ্যাক করা অবৈধ। তবে এমন ইথিক্যাল বা হোয়াইট হ্যাকারদের কদর সব দেশেই এখন বেশি বলে জানাচ্ছে বিবিসির প্রতিবেদন।
ইএইচ/ নভে ৩০/ ২০১৯/ ১৯০০
আরও পড়ুন –