ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে 'টপ টু বটম অ্যাপ্রোচ' অনুসরণ

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বটম-আপ অ্যাপ্রোচ পদ্ধতি অনুসরণ করে তৃণমূল থেকে ডিজিটাজেশনের নতুন যাত্রা শুরু হয়।

প্রথমে গ্রামে বসবাসকারী মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারাদেশে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় স্টার্টআপ অ্যাক্সেলটর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন।

Techshohor Youtube

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে  সরকার ইতোমধ্যে ৬০০ সেবা ডিজিটাইজ করেছে। এসব সেবা মানুষ  অনলাইনে গ্রহণ করছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ২০০ সেবা  চালু করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ সরকারি সেবা অনলাইনে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে চারটি স্তম্ভ-মানব সম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, ই-গভর্নেন্স ও আইটি ইন্ডাট্রি প্রমোশন বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। আইডিয়া প্রকল্প ,হাইটেক পার্ক প্রকল্প সহ আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য  মেন্টরিং, কোচিং, ফান্ডিং সহ সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স, বিপিও সেক্টর, সফটওয়্যার কোম্পানিসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা সার্ভিসে মোট ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে সরকার।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমেরিকার মার্কেট এক্সেস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস বারি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্টআপ অ্যাক্সেলেরেটর প্রোগ্রাম এডভাইজার টিনা এফ জাবিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার এবং গ্রামীনফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বক্তব্য রাখেন।

ইএইচ/ নভে ১৯/ ২০১৯/ ১৭৫৫

আরও পড়ুন –

জাতিসংঘের ডিজিটাল সূচকে বাংলাদেশকে পঞ্চাশে দেখতে চান জয়  

ডিজিটাল নিরাপত্তা ইউনিট হচ্ছে উপজেলায়

*

*

আরও পড়ুন