 |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে আইডিয়া প্রকল্পের স্টার্টআপদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও সম্প্রতি সমাপ্ত ‘আইডিয়া বেসিকস ১০১’ এর সনদপত্র বিতরণ করেছে প্রকল্পটি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)’ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায় নিয়ে সরকার নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইডিয়া প্রকল্প বাংলাদেশী উদ্দ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন সেবা বা পণ্যসমূহ দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বে প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি তাদের বিভিন্নভাবে মেন্টরিং সাপোর্ট, ফান্ডিংসহ নানাভাবে সহোযোগিতা করছে।
এরই আলোকে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের বর্তমান অবস্থা, স্টার্টআপদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সমাধান এবং সম্ভাবনা বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজন করে আইডিয়া প্রকল্প। সেমিনারে আমন্ত্রিত স্টার্টআপরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক, উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী হোসনে আরা, অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জাহিদ, প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক আলাওল কবির এবং প্রকল্পের পরামর্শক দেওয়ান আদনান।
আইডিয়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রায় ৫০ টি স্টাটআপ থেকে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা এই সেমিনারে অংশ নেয়।
সেমিনার শেষে আইডিয়া প্রকল্পের সম্প্রতি সমাপ্ত স্টার্টআপদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক কোর্স আইডিয়া বেসিকস ১০১ এর সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগেরর সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, আইডিয়া একটা ব্র্যান্ড হতে পারে। সকলেই কিছু না কিছু বিষয়ে পারদর্শী। সকলের এই জ্ঞানকে যৌক্তিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। যে কোন সমস্যা থেকেই নতুন কিছু শেখার সুযোগ থাকে। শেখার শেষ নেই, তাই শেখার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি চাকুরি না খুঁজে ব্যবসা করার জন্যও সকলকে অনুপ্রেরণা দেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব।
তিনি আমন্ত্রিত স্টার্টআপদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শুনেন এবং তার সমাধানে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে এই সকল সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলো একদিন আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুন-আল-রশীদ, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্যামস্টেক উইংয়ের যুগ্ম-প্রধান সেলিনা আক্তারসহ আরও অনেকেই।
ইএইচ/ অক্টো ৩১/ ২০১৯/ ১৯৪৫
কপিরাইট © ২০২২ টেকশহরডটকম দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি
