![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সিম্ফোনি এক্সপ্লোরার সিরিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো সবধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য। এক্সপ্লোরার ডব্লিউ৬৯কিউ মডেলটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি সবদিক দিয়ে একটি বেসিক ফোন হলেও সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী কনফিগারেশন রয়েছে। যে কারণে অনেকেই কমের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন চাইলে এটি কিনতে পারেন। ডিজাইন ফোনটির বডি কালো প্লাস্টিকে তৈরি এক্সপ্লোরার সিরিজের বেশিরভাগ ফোনের মতো। এটি ৯.৮ মিলিমিটার স্লিম। ডিসপ্লে এর আইপিএস ডিসপ্লের আকার ৪ ইঞ্চি, রেজুল্যশন ৪৮০*৮০০ পিক্সেল। প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল সংখ্যা ২৩৩, যা কাছাকাছি দামের অনেক ফোনের চেয়ে কমই বলা চলে। ক্যামেরা এর প্রধান ক্যামেরাটি ৫ মেগাপিক্সেল। এটি সর্বোচ্চ ২৫৯২*১৯৪৪ পিক্সেলের ছবি তুলতে পারে। এলইডি ফ্ল্যাশ আছে, এইচডি কোয়ালিটিতে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এ ছাড়া ফ্রন্ট ক্যামেরা ০.৩ মেগাপিক্সেল। কানেক্টিভিটি বেসিক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সব কানেক্টিভিটি ফিচার এতে আছে। ব্লুটুথ ওয়াইফাই, ওয়াইফাই হটস্পটের সাথে আছে ডুয়াল সিম ডুয়াল স্ট্যান্ডবাই সুবিধা। সেন্সরের মধ্যে আছে জি-সেন্সর, লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি ও অ্যাক্সেলেরোমিটার। এছাড়া এফএম রেডিও আছে। কনফিগারেশন এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর, সাথে আছে মালি-৪০০ গ্রাফিক্স প্রসেসর। র্যাম ৫১২ মেগাবাইট, রম ৪ জিবি ও ৩২ জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড সাপোর্ট করে। পারফরম্যান্স এর ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.৪.২ কিটক্যাট। এত কম দামে ও নূন্যতম কনফিগারেশনে কিটক্যাট নিয়ে আসার জন্য সিম্ফোনিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। এর প্রসেসরও বেশ শক্তিশালী। তাই মসৃণ গতিতে অ্যান্ড্রয়েডের মজা উপভোগ করা যাবে। এ ফোনে মোটামুটি সব ধরনের অ্যাপ চালাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা, হাই কোয়ালিটির কিছু গেইমে সমস্যা হতে পারে কম র্যামের জন্য। ডিসপ্লে কোয়ালিটি খুব একটা উচ্চমানের না হওয়ায় ভিডিও, মুভি ইত্যাদি দেখতে গিয়ে হতাশ হতে হবে। অনেক আইকন বা অ্যাপের ইন্টারফেসও ঘোলাটে আসবে। ব্যাটারি ১৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এতে, যার টকটাইম ব্যাকআপ চার ঘণ্টা। ফোনটির দাম মাত্র ৭ হাজার ৯৫০ টাকা। এক নজরে ভালো – কম দামে অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট – চমতকার কনফিগারেশন এক নজরে খারাপ – ডিসপ্লে দুর্বল – র্যাম কম