![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিশ্বে এখন যে কয়েকটি খাতের বড় এবং সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ভিডিও গেইম।
ভিডিও গেইম শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর শিল্পটি এখন সিনেমা এবং মিউজিক মিলে যে পরিমাণ বাজার তার বেশি বাজারে পরিণত হয়েছে। তাই গেইমিংয়ের সম্ভাবনার জায়গা এখন খুবই ইতিবাচক।
অনেকেই মনে করেন, ভিডিও গেইম খেলাটা শুধু সাময়িক আনন্দ ও তৃপ্তি লাভের জন্য। কিন্তু একবার যদি এর ভিতরের বিষয়গুলো ভেবে দেখেন তবে মন পুরো উল্টা দিকে ঘুরাতে বাধ্য হবেন।
বর্তমান সময়ের অনেকেই ভিডিও গেইম খেলেই ভালো চাকরি পেয়েছেন। এমন উদাহরণ এখন ভুরিভুরি। এমনকি অনেকেই তাদের জীবনবৃত্তান্তে ফোর্টনাইট গেইম খেলার অভিজ্ঞতাকে নিজের যোগ্যতা হিসেবেই যুক্ত করেছেন।
একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, অনেকক্ষেত্রে একটি গেইমার বাস্তব জীবনে যুদ্ধের যে প্রশিক্ষণ নেন তার চেয়ে বেশি দক্ষতা গেইম থেকে অর্জন করতে সক্ষম। আর সেই দক্ষতা সে বাস্তব জীবনেও প্রয়োগ করতে পারেন।
আপনি যদি আনইউজুয়াল পাজল যেমন পোর্টাল, অথবা ডিফেন্স গেইম ডিফেন্স গ্রিড খেলে থাকেন তাহলে অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এটা দেখা গেছে যে, এমন গেইম যারা খেলে তাদের বেশিরভাগই তথ্যপ্রযুক্তিতে খুব দক্ষ হোন। তাদের খুঁজে বের করেন অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যক্তিরা।
অন্যদিকে আপনি যদি সিভিলাইজেশন, টোটাল ওয়্যার কিংবা এক্স-কম গেইম খেলেন তবে আপনি একজন ভালো রিসোর্চ ম্যানেজার হয়ে উঠতে পারবেন। আর আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে খুব ভালো করতে পারবেন বলেই মনে করছেন বিশ্লষকরা।
গেইম একাডেমি গেইমারদের এমন সব গেইম খেলার অভ্যাসের উপর নজর রাখে। সেখানে ভালো করাদের আরও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে একাডেমিতে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
তাদের অনেকেই আবার গেইম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। মানে তাদের দক্ষতা অন্যদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে কাজ করেন। অনেকে অবশ্য এমন দক্ষতা অন্যের মধ্যে সঞ্চারণ করা যায় না বলে মনে করেন।
ব্রিটিশ রয়াল এয়ার ফোর্সের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা অনেক সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন অনেক গেইমারকে অগ্রাধিকার দেন যারা বিভিন্ন যুদ্ধভিত্তিক গেইম খেলে হাত পাকিয়েছেন।
কিছুদিন আগেও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক গেইমারকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যাটল গেইমে দক্ষ।
এমনই এক নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য রায়ান্স গার্ডনার বলেন, যারা গেইম খেলায় ভালো তারা বাস্তবেও খুব প্রফেশনাল হোন। তারা টিম ওয়ার্ক, প্রবলেম সলভিং এবং কৌশলগত পরিকল্পনায় পাকা হোন।
কিন্তু গেইমররা ঠিক কতটুকু দক্ষ হবার পর সেটি জীবন বৃত্তান্তে যুক্ত করবেন তার একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি রাখার কথাও বলেছেন তারা।
অবশ্য সিভিতে যদি ভিডিও গেইমে দক্ষতার বিষয়টি লেখতে হয় তবে অবশ্যই সেই চাকরি এবং তার সঙ্গে গেইমিং দক্ষতার যোগসূত্র থাকতে হবে।
দুবছর আগে অবশ্য গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি এক গবেষণায় বলেছে, যেসব শিক্ষার্থী গেইমিংয়ে দক্ষ তারা একাডেমিক পড়াশোনাতেও ভালো করেছে।
ইএইচ/ সেপ্টে০১/ ২০১৯/ ১৯৫০
আরও পড়ুন –