![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নিষিদ্ধ হওয়া, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কি লেবেলহীন পণ্যে ছেয়ে গেছে অ্যামাজন।
ই-কমার্স সাইটটিতে এমন হাজার হাজার পণ্যের সন্ধান পেয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের অনুসন্ধানে এমন অন্তত ৪ হাজার ১৫২ পণ্যের নমুনা পাওয়া গেছে।
এমন লেবেলহীন, নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর পণ্যগুলোর বিক্রিতে জার্নালটি খুবই বেদনাদায়ক বলে বর্ণনা করেছে।
কারণ, ফেডারেল এজেন্সি এসব পণ্যকে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু অনুমোদনের সময় সেগুলোতে কোন ত্রুটির দেখা পায়নি।
এজেন্সির এসব শিশু খাদ্য, ঔষধ, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ঔষধ, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ, সীসা বা সম্ভাব্য শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি তৈরি করে এমন খেলনা এবং আরও অনেক কিছুতেই পরে আর নজরদারি করেনি।
অনুসন্ধানে পাওয়া অনেক পণ্যে কোনো লেবেল লাগানো ছিল না। ফলে সেসব পণ্যে বিশ্বাস করতে হতো কোন কিছু না দেখেই।
এসব পণ্যের মধ্যে অন্তত ১৫৭টি পণ্য একেবারে নিষিদ্ধ বলেও অনুসন্ধানে স্বীকার করেছে অ্যামাজন।
অ্যামাজন অবশ্য বলছে, তাদের তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যেসব মার্চেন্ট প্লাটফর্মটিতে বিক্রি করে তারা এমন কাজে যুক্ত।
তবে অবশ্যই সেখানে অ্যামাজনের দায় আছে। কারণ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, তাদের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অ্যামাজনে পণ্য বিক্রির অনুমোদন পায় তারা। তখন তারাও অনেক ক্ষেত্রে অ্যামাজনের ওয়্যার হাউজ ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হয়। তাদের ক্ষেত্রে একটি শব্দ লেখা থাকে, ‘অ্যামাজনের মাধ্যমে বিক্রি’। কিন্তু সেখানেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন অ্যামাজন কর্মকর্তারা।
এতো কিছুর পরও একটি কথা সত্য যে, অ্যামাজনের মাধ্যমেই হোক, আর অ্যামাজনই বিক্রি করুক, পণ্যগুলো ক্ষতিকর। ফলে এর দায় অ্যামাজনের উপরেই বর্তায় বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
অ্যামাজন অবশ্য পুরো প্রতিবেদনটির বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে একটি ব্লগ পোস্টে। সেখানে তৃতীয় পক্ষের পণ্য বিক্রির কথা এবং সেখানে কিভাবে তারা সেটি করতে পারে তাও স্পষ্ট করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেটি নিয়ে সঠিক তদন্ত করতে এবং ওই ‘নির্দিষ্ট’ সেলারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
ইএইচ/ আগস্ট ২৭/ ২০১৯/ ২১০০
আরও পড়ুন –