মোবাইল ইন্টারনেটেও সেন্সর করতে পারবেন অভিভাবকরা

ছবি : টেকশহর

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ইন্টারনেটে কী চলবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন অভিভাবকরা।

সাধারণত মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্লক করা গেলেও সচেতনতা, ওই পদ্ধতিকে ঝামেলা মনে করা ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ অভিভাবক তা করেন না।

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো যদি সরাসরি সহজ কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে অভিভাবকদের এই সেন্সর সুবিধা দেন তাহলে এটি কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Techshohor Youtube

ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগে যেকোনো ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট ব্লক করতে পারার এমন প্যারেন্টাল গাইড আইএসপিদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবার মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ক্ষেত্রেও তা করতে চাইছে সরকার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহরডটকমকে জানান, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে প্যারেন্টাল গাইড বাধ্যতামূলক করতে শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, এতে একজন অভিভাবক চাইলে তার সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ইন্টারনেটে অশ্লীল, বিপদজনক, ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট ও কনটেন্ট ব্লক করে দিতে পারবেন।

‘এটি বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগে এ বিষয়ে আইএসপিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবার মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, কেবল ইন্টারনেট নয়, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে। এই নিরাপত্তা ডিজিটাল বাংলাদেশ, সমাজ, পরিবার, ব্যক্তি সব মিলে নতুন প্রজন্মের সকলের জন্য। আর এর দায়িত্ব সমাজের সবার।

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো অবশ্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। বিশেষ করে স্কুলগুলোতে শিশুদের দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহার ও অভিভাবকদের করণীয় নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে তারা।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে অভিভাবকদের সরাসরি ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট ব্লক করার কোনো সেবা তাদের নেই।

বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা আট কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার।

দেশে সব ধরনের ব্যবহারকারীর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তুলতে একটা অভিযান চালাচ্ছে সরকার।

ইতোমধ্যে দেশে ২০ হাজারের বেশি পর্নো ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে। এছাড়াও ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউব এবং সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে ‘সফট পর্নো’ সরাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের কয়েকটি সংস্থা।

এডি/২০১৯/আগস্ট২৪/১৯৫০

*

*

আরও পড়ুন