![]() |
রিয়াদ আরিফিন, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পরিধানযোগ্য গ্যাজেটের বাজারে চমকপ্রদ সব গ্যাজেটের দেখা মিলছে হরহামেশাই।
জনপ্রিয় ও বড় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে বেশ শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে শাওমি। চীনা এ ব্র্যান্ডের ‘মি’ ব্যান্ড সিরিজের চতুর্থ সদস্য মি ব্যান্ড ৪ সম্প্রতি বাজারে এসেছে।
নতুন এ গ্যাজেট আগেরগুলোর চেয়ে কতটা সুবিধাজনক কিংবা ব্যবহারে অসুবিধা কেমন তা দেখা যাক।
ফিচার ও স্পেশিফিকেশন
মোড়ক খুললেই যা মিলবে
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
ব্যান্ড ৪ ডিভাইসটির ডিজাইন অনেকটা আগের মি ব্যান্ড ৩-এর মতোই। আগগ্রেড হিসেবে এটিতে প্রথমবার রঙিন ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ০.৯৫ ইঞ্চি অ্যালোমেড ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ১২০*২৪০ পিক্সেল, যা আরজিবি কালার সমর্থন করবে।
টাচ সমর্থনযোগ্য ডিসপ্লেটিতে একটি টাচ ক্যাপাসিটিভ বাটন রয়েছে, যা দিয়ে ব্যান্ড চালু করা, কোনো অপশন নির্বাচন করা ও ব্যাক বাটনের কাজ করা যাবে।
ডিসপ্লের আলো পাঁচ ধাপে কমানো বা বাড়ানো যাবে। তবে একটানা ৫ সেকেন্ড পরেই আলো নিভে যায়, টাইমআউট বাড়ানোর কোনো অপশন না থাকায় অনেকে কিছুটা বিরক্তি বোধ করতে পারেন।
এর বডি পলিকার্বনেটের এবং স্ট্রাপটি থার্মোপ্লাস্টিক পলিইউরেথেন দিয়ে, যা হাতে ব্যবহার বেশ আরামদায়ক। ব্যান্ডটির সঙ্গে একটি স্ট্রাপ থাকলেও, চাইলে ভিন্ন রঙের স্ট্রাপও কিনে ব্যবহার করা যাবে।
ব্যান্ডটি ৫০ মিটার পর্যন্ত পানি নিরোধী। তাই চাইলে এটিকে ভেজানো যাবে, এমনি সাঁতার কাটার সময়ও হাতে রাখা যাবে।
কানেক্টিভিটি
এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনে মি ফিট নামের অ্যাপ ইনস্টল থাকতে হবে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্লাটফর্মেই পাওয়া যাবে। তবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ও আইওএস ৯.০ এর আগের কোনো সংস্করণে ব্যবহার করা যাবে না।
এতে ব্লুটুথের সর্বশেষ ৫.০ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে কানেক্টিভিটিতে কোনো সমস্যা হবে না।
তবে প্রথমবার ব্যান্ডটিকে স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে। কারণ প্রথমবার সর্বশেষ ফার্মওয়্যার ও অন্যান্য ফিচার আপডেট হয়।
পারফরমেন্স ও ফিচার
ফিটনেস ট্রাকার ব্যান্ডটির নানা ফিচারের পাশাপাশি এটিকে হাতঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সময় দেখানোর পাশাপাশি এটি ফোনের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় ফোনে কোনো কল আসলে কলারের নাম ও নম্বর দেখাবে।
ভাইব্রেশনের মাধ্যমে নোটিফিকেশন দেবে। কল ছাড়াও ম্যাসেজ ও অন্য অ্যাপের নোটিকেশন পড়া যাবে ব্যান্ডের ডিসপ্লেতেই।
এ ছাড়াও স্টপ ওয়াচ, অ্যাক্টিভিটি মনিটর রয়েছে। তবে ম্যাসেজের ক্ষেত্রে এটি বাংলা ফন্ট সমর্থন করে না। একই সঙ্গে এটিতে বিজ্ঞাপন চলে নিয়মিত বিরতিতে। এ বিষয়টি ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করবে।
ফিটনেস ট্র্যাকার হিসেবে থাকা হার্ট রেইট মনিটর দিয়ে হৃদস্পন্দন মাপা যাবে।
এ ছাড়া স্লিপ ট্র্যাকিং দিয়ে এটি প্রতিদিনের ঘুমের হিসাবও রাখতে পারবে। পেডোমিটার সেন্সর রাখবে হাঁটাচলার হিসাব। যেগুলো মাপ মোটামুটি সঠিক।
এছাড়া নানা ধরনের ওয়ার্ক আউট যেমন, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইক্লিংয়ের ট্র্যাকিং এমনকি ক্যালারি বার্নের হিসাবও রাখা যাবে এই গ্যাজেটে।
চার্জিং ও ব্যাটারি
শাওমির দাবি, সাধারণ মানের ব্যবহারে একবার চার্জে টানা ২০ দিন ব্যবহার করা যাবে গ্যাজেটটি।
তবে সব ফিচার ব্যবহার করলে মোটামুটি ৭-১০ দিন অনায়েসেই ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব।
এর সঙ্গে থাকা চার্জার দিয়ে একবার ফুল চার্জ করতে প্রায় ২ ঘণ্টার মত সময় লাগবে।
মূল্য
দেশের বাজারে ব্যান্ডটি বাজার ভেদে প্রায় ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্য কেনা যাবে।
এক নজরে ভালো
এক নজরে খারাপ
আরএ/ইএইচ /আগস্ট ১৭/ ২০১৯/ ১৫০০