![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নয় বছরের বালক উইলিয়াম বেরি পারলে সপ্তাহের ছয়দিনই ভিডিও গেইম খেলে। কিন্তু মায়ের কারণে তা আর হল কই?
প্রাইমারি স্কুল শুরু হওয়ার পর থেকেই গেইমিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ জন্মে। ধীরে ধীরে তার আচরণের পরিবর্তনগুলো ধরতে পারেন মা পারসা। ঠিকমতো স্কুলের হোমওয়ার্ক করতো না। তাই গেইম খেলার সময় বেধে দিলেন তিনি।
বললেন, শুক্রবার স্কুল শেষে গেইম খেলতে পারবে সে। কিন্তু তাতে তেমন কাজ হলো না। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে সোমবারের আগে ছেলের তেমন দেখাই পেলেন না তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে গেইম খেলার কারণে ঘর থেকেই বের হতো না সে।
এমন অবস্থায় ছেলেকে বললেন, শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিডিও গেইম খেলতে হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে খেলতে হবে মাঠে গিয়ে।
প্রতিবার বাইরে খেলতে যাওয়ার আগে পারসা বলতেন, আমরা এখন ১০ মিনিটের মধ্যে গেইম খেলা বন্ধ করবো এবং বাইরে খেলতে যাব।
সাইকোলোজিস্ট ব্র্যাড মার্শালের মতে, উইলিয়ামকে স্ক্রিন টাইম ও গ্রিন টাইম বেধে দেওয়ার কৌশলটাই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। যদি সরাসরি বলা হতো, গেইম খেলা বন্ধ করো তাহলে উইলিয়াম রুমে গিয়ে বসে থাকতো। এতে তার মন খারাপ হতো। কিন্তু সরাসরি মানা না করায় বিষয়টাকে সে স্বাভাবিকভাবেই নেয়।
ব্র্যাড মার্শালের জানান, আসক্তি তৈরি হলে তা খুব কম বয়সে ছাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কারণ পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
তবে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির প্রফেসর ড্যানিয়েল জনসনের মতে, আসক্তি তৈরি না হলে অনলাইনে ভিডিও গেইম খেলার কিছু ভালো দিকও আছে। অনলাইনে গেইম খেলার সময় অন্যান্য দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে বন্ধু সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত হয়।
এছাড়াও, ভিডিও গেইম খেললে মানুষ নিজেকে কর্মদক্ষ ভাবতে শেখে।
এবিসি নিউজ অবলম্বনে এজেড/ আগস্ট ০৫/২০১৯/১৪৪৫
আরও পড়ুন –
পাবজি বন্ধ চীনে, বিকল্প দেশাত্মবোধক গেইম