![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ২০০৬ সালে সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার পর এখন বেসরকারি কোম্পানিকেও দেশের মধ্যে সাবমেরিন কেবলের সংযোগ আনার সুযোগ রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলের যুগ শুরুর ১৩ বছর পর এখন তৃতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।
এরই মধ্যে সাবমেরিন কেবল বিষয়ক লাইসেন্সিং নীতিমালা করার কাজেও হাত দিয়েছে সরকার।
নীতিমালা তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। এতে বেসরকারি কোম্পানিকেও দেশের মধ্যে সাবমেরিন কেবলের সংযোগ নিয়ে আসার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অনেক দিনে থেকে বেসরকারি পর্যায়ে এ ব্যবসা উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এক্ষেত্রে এটিকে এ খাতের জন্য বড় একটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এককভাবে এ সেবা দিচ্ছে। লাইসেন্স দেওয়ার নীতিমালা হলে এ কোম্পানিই প্রথম লাইসেন্স পাবে।
সরকারি কোম্পানিটি এখন দুটি সাবমেরিন কেবলের মালিক। তৃতীয়টির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
দেশে এখন মোট ইন্টারনেট ব্যন্ডউইথ খরচ হচ্ছে এক হাজার ২০০ জিপিবিএস। এর মধ্যে বিএসসিসিএল দিচ্ছে ৮০০ জিবিপিএস। বাকিটা ভারত থেকে আনছে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টেলিজিওগ্রাফির প্রক্ষেপন অনুসারে চলতি বছর দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ হওয়ার কথা ছিল ৯০০ জিবিপিএস। বাংলাদেশ এর চেয়ে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে।
সামনের দিনে এ চাহিদা আরও বাড়বে এবং তখন বিএসসিসিএলের দুটি কেবেলই চাহিদা মেটানো যাবে না। সুতরাং তৃতীয় কেবল বা বেসরকারি পর্যায়ের কেবলের জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন, খসড়াটিতে লাইসেন্সের সংখ্যা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অন্য সব লাইসেন্সের মতো এর মেয়াদও ১৫ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লাইসেন্সে ফির প্রস্তাব করা হয়েছে তিন কোটি টাকা। সেই সঙ্গে প্রতি বছরের নবায়ন ফি ৫০ লাখ টাকা। প্রথমে খসড়ায় অবশ্য এ দুটি অংক যথাক্রমে ১০ কোটি ও তিন কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে ১ শতাংশ হারে রাজস্ব শেয়ার করতে হবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে; যা প্রথম খসড়ায় ছিল ৩ শতাংশ। তাছাড়া জামানত হিসেবে এখন মাত্র দুই কোটি টাকা রাখতে বলা হচ্ছে, যেটি প্রথম খসড়ায় ছিল পাঁচ কোটি।
বিটিআরসি’র প্রণয়ন করা নীতিমালার খসড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ঘুরে আবার কমিশনে আসার পর এখন কিছু সংযোজন-বিয়োজনের কাজ চলছে।
আগামী দু’একদিনের মধ্যেই সেটি আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে।
জেডএ/আরআর/ ২৪ জুলাই/২০১৯/০২.৩১
আরও পড়ুন –