![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : এইচপির বেশ কিছু অল ইন ওয়ান ও হাইব্রিড ডিভাইস বর্তমানে বাজারে আছে। ব্যবহারকারীরা যা বৈচিত্র্যময় উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম এইচপি স্লেটবুক ১০-এইচ০১৫য়ারইউ এক্স২, যা অতিরিক্ত কিবোর্ড সংবলিত অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব।
কি-বোর্ডটি খুলে একে পুরোদস্তুর ট্যাবের মতো ব্যবহার করা যাবে। আবার কি-বোর্ড লাগিয়ে ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিজাইন
বেশিরভাগ ট্যাবের মতো স্মুথ ফিনিশিং ও স্লেট আকারের নয় এটি। কোনাগুলো গোলাকার ও কিছুটা স্ফীত। তাই অনেকের হাতে ধরতে সমস্যা হতে পারে। এর ওজন কিবোর্ড ছাড়া ০.৬ কেজি, পুরুত্ব ০.৯৬ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন : এইচপি পণ্যে ঈদ হুল্লোড়
ডিসপ্লে
এর ডিসপ্লে সাইজ ১০.১ ইঞ্চি। এলইডি ব্যাকলিট ও টাচস্ক্রিন, যার রেজুল্যুশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল।
কানেক্টিভিটি
এর কানেক্টিভিটি ফিচারের মধ্যে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের পাশাপাশি আছে মাল্টি-ফরম্যাট কার্ড রিডার, একটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট, একটি এইচডিএমআই পোর্ট ও ২টি হেডফোন আউট/মাইক্রোফোন ইন জ্যাক।
এ ছাড়া এটির বিশেষ ডিজাইনের কি-বোর্ডকে বলা হচ্ছে আইল্যান্ড কি-বোর্ড। মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে টাইপ করা যাবে। এইচপি ইমেজপ্যাড নামে টাচপ্যাড নানা ধরনের গেশ্চার সাপোর্ট করে।
ক্যামেরা
ট্যাবটির সামনে ও পেছনে দুটি ক্যামেরা আছে। পেছনের ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল, যা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলে ছবি তোলা যাবে।
ফ্রন্ট ক্যামেরা এইচপি ট্রুভিশন এইচডি ওয়েবক্যাম, যা দিয়ে ৭২০ পিক্সেলে ভিডিও করা যাবে।
কনফিগারেশন
স্লেটবুকে ১.৮ গিগাহার্জ স্পিডের এনভিডিয়া টেগ্রা টি৪০এস কোয়াড প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। র্যা ম ২ জিবি। গ্রাফিক্স প্রসেসর বিল্ট-ইন, ইন্টেল এইচডি ৪০০০।
৬৪ জিবির ইএমএমসি এসএসডি হার্ডড্রাইভ রয়েছে। এ ছাড়া এতে ডিটিএস প্লেব্যাক সমর্থিত ডুয়াল স্পিকার রয়েছে, যা বেশ জোরালো ও স্পষ্ট সাউন্ড দেবে।
পারফরম্যান্স
অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন এতে ব্যবহার করা হয়েছে। এনভিডিয়ার টেগ্রা প্রসেসরের ফলে রীতিমতো ল্যাপটপের মতো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে ট্যাবটি থেকে। কি-বোর্ড জুড়ে দিলে ব্রাউজিং, টাইপিং ইত্যাদি কাজ ল্যাপটপের মতোই করা যাবে।
হাই রেজুল্যুশন স্ক্রিনের কারণে গেইম, মুভি ইত্যাদি ভালোই উপভোগ করা যাবে। প্লে স্টোরের বেশিরভাগ গেইম ভালো কোয়ালিটিতে খেলা যাবে।
ব্যাটারি
এতে ২-সেলের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পর্যাপ্ত সময় ব্যাকআপ দেবে।
দেশের বাজারে স্লেটবুকের দাম ৫০ হাজার ৯০০ টাকা।
এক নজরে ভালো
– তুলনামূলক কমদামে চমত্কার হাইব্রিড ডিভাইস
– উন্নতমানের স্ক্রিন
এক নজরে খারাপ
– ক্যামেরা রেজুল্যশন কম
– বহন করতে সমস্যা হতে পারে
আরও পড়ুন : ক্রেডিট কার্ডে এইচপি নোটবুক কেনার সুযোগ