![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মার্কিন টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট প্রোভাইডার কোম্পানি ভেরিজনের কাছে পেটেন্ট লাইসেন্সের ফি হিসেবে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার দাবি করেছে হুয়াওয়ে।
ভেরিজন সরাসরি হুয়াওয়ের কাছ থেকে কোনো যন্ত্রাংশ কেনেনি। তবে তারা এমন ২০ টি কোম্পানির যন্ত্রাংশ কেনে যাতে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত নিজের উদ্ভাবিত কোনো পণ্য বা সেবার স্বত্বাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি কার্যালয়ের মাধ্যমে লাইসেন্স নেওয়াকে পেটেন্ট করা বলে।
হুয়াওয়ের দাবি, তাদের পেটেন্ট করা নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, ইন্টারনেট অব থিংস ও ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভেরিজন। সব মিলিয়ে ২৩০টি পেটেন্ট করা যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভেরিজন। যার লাইসেন্স ফি ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এ বিষয়ে ভেরিজনের মুখপাত্র রিচ ইয়াং সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, বিষয়টি শুধু ভেরিজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে হুয়াওয়ে সংক্রান্ত যে কোনো ইস্যুর প্রভাব আমাদের পুরো প্রযুক্তি খাতের উপর পরবে। একইসঙ্গে তা দেশে ও বিদেশে উদ্বেগ বৃদ্ধি করবে।
ট্রাম্প সরকারের কালো তালিকা ভুক্ত হওয়ার পরই যে ভেরিজনের পেটেন্ট লঙ্ঘন নিয়ে হুয়াওয়ে সরব হয়েছে তা নয়। পেটেন্ট লঙ্ঘনের কথা জানিয়ে ভেরিজনের কাছে তারা চিঠি পাঠায় গত ২৯ মার্চ। উভয় কোম্পানির মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার মেইল আদান প্রদান হয়। ফোনালাপেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে কোম্পানি দুটির কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে বৈঠক করেন। সেখানে হুয়াওয়ের দাবি করা লাইসেন্স ফি কিভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা করে ভেরিজন।
নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে এজেড/ জুন ১৩/২০১৯/১৫১২