শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিংয়ের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আগামী ২২ ও ২৩ মে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) কনফারেন্স হলে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীটি অনুষ্ঠিত হবে।

‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ স্লোগান নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইয়াং বাংলা।

Techshohor Youtube

ওই দুই দিনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্ক্র্যাচ এবং পাইথন ভাষার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী শিক্ষকদের এই লিংকে গিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘স্ক্র্যাচ’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের ‘পাইথন’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচীর প্রথম দিনে স্ক্র্যাচ এবং দ্বিতীয় দিনে পাইথন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে নিবন্ধন ফর্মে ভুল তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানান আয়োজকরা।

এবারের আয়োজনটি গত বছরের চেয়ে বড় হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ২০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যেকোন বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য স্ক্র্যাচ এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পাইথনের প্রোগ্রামিং নিয়ে এসব ভেন্যু থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধন করা যাবে ২৬ মে পর্যন্ত। আগ্রাহীরা এই ঠিকানায় গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এর আগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাটিতে একাদশ এবং দাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারলেও এবার থেকে আর সেটি পারবে না। তবে সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীরা চাইলে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানায় আয়োজকরা।

প্রতি ল্যাবে ৭৫ জন করে অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান আয়োজকরা। স্ক্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ১৫ জন করে বাছাই করে পাঁচটি দলে, একইভাবে পাইথনের জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের তিনদিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

সারা দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে একই সঙ্গে একই সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তবে স্ক্র্যাচ এবং পাইথনের প্রতিযোগিতা দুটি ভিন্ন দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি জেলা থেকে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং সকল জেলা হতে প্রাপ্ত বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে দুই দিনব্যাপী স্ক্র্যাচ এবং পাইথনের জন্য দুটি ভিন্ন জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় দিনে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ক্যাম্পের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

ইএইচ/ মে ১৯/২০১৯/১৭০০

আরও পড়ুন

জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু

*

*

আরও পড়ুন