![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভজির উন্নয়নে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান জোরেশোরে কাজ করছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেমন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, তেমনি রয়েছে কোরিয়, চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দেশে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে এবং সেই ধারবাহিকতায় বাংলাদেশেও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক চালু হবে।
ফাইভজির ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কম কিংবা মধ্যম বাজেটের মধ্যে ফাইভজি হ্যান্ডসেট। ইতোমধ্যে বাজারে ফাইভজি হ্যান্ডসেট এসেছে। সেটাও একেবারে হাতে গোনা। যে কয়েকটি হ্যান্ডসেট পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম বেশ চড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে কম দামের ফোন পাওয়া যাচ্ছে শাওমির এমআই মিক্স ৩ ফাইভজি। হ্যান্ডসেটটির দাম প্রায় ৫৮ হাজার টাকা।
এছাড়াও যারা ফাইভজি নিয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে হুয়াওয়ে এনেছে ‘হুয়াওয়ে মেইট ২০এক্স ফাইভজি’ হ্যান্ডসেট। যার মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ৭৬ হাজার টাকা। টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানের দাবি, আগামী বছরের শেষ ভাগ নাগাদ বাজারে মধ্যম বাজেটের ফাইজজি হ্যান্ডসেট নিয়ে আসবে তারা।
তাদের দাবি অনুযায়ী, থ্রিজি থেকে ফোরজিতে যেতে অপারেটরগুলোর প্রায় ৩-৪ বছরের মত সময় লাগলেও, ফোরজি থেকে ফাইভজিতে যেতে তাদের সময় অনেকটাই কম লাগবে।
ইতোমধ্যে স্যামসাং তাদের ফাইভজি ফোন এনেছে। ফাইভজি ডিভাইস সহজলভ্য করতে দক্ষিণ কোরিয় প্রতিষ্ঠানটিও কাজ করছে। তৈরি করছে স্বল্প দামের মধ্যে ফাইভজি চিপসেট।
এছাড়াও অন্যান্য বেশিকিছু প্রতিষ্ঠান ফাইভজি হ্যান্ডসেট সহজলভ্য করতে কাজ করছে। কিন্তু কাজগুলোও এখন এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে চাইলেই কোন প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের শেষভাগের আগে মধ্যম বাজেটের ফাইভজি স্মার্টফোন গ্রাহকের হাতে তুলে দিতে পারবে না।
তাই অপেক্ষা করতে হবে, সেই ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত।
আরএ/ইএইচ/মে ১২/ ২০১৯/ ১৬০০