![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অবশেষে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এসিএম-আইসিপিসিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।
বৃহস্পতিবার দলটির তিন সদস্য ও এক কোচের ভিসা নিশ্চিত হয়েছে। ফলে তারা আগামী ৩১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্তুগালে অনুষ্ঠিতব্য এসিএম-আন্তর্জাতিক কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
ভিসা জটিলতায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়লে টেকশহডটকমে গত ২৫ মার্চ ‘এসিএম-আইসিপিসিতে অংশ নিতে পারছে না দেশের চ্যাম্পিয়নরা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা সংশ্লিষ্টদের নজরে আসলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা যাতে ভিসা পায় সে সম্পর্কে অনেকেই কাজ করার কথা জানান এবং টেকশহরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সেদিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান ও বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপুসহ তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অনেকেই এগিয়ে আসেন। তাদের প্রচেষ্টায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নজরে আসে বিষয়টি।
বৃহস্পতিবার দলটিকে পাসপোর্ট নিয়ে ফ্রান্স দূতাবাসে দেখা করার কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর তারা সকালে দূতাবাসে যান এবং একজন বাদে বাকি চার জনের ভিসা হয়।
বাংলাদেশে এসিএম-আইসিপিসি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলটির সদস্য মওদুদ খান শাহরিয়ার টেকশহরডটকমকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বৃহস্পতিবার ফ্রান্স দূতাবাসে দেখা করার কথা বলেন। এরপর পাসপোর্ট নিয়ে দূতাবাসে গেলে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন কর্মকর্তারা। সেখানে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ আমাদের ভিসা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ সরকারের প্রতি। তারা আমাদের সুযোগ করে দিলেন বিশ্ব আসরে অংশ নেবার। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ভালো করার, প্রোগ্রামিংয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করার।
ভিসা জটিলতায় টিকিট আগে করা হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি টিকিট করার। আমরা ৩১ মাচের্র মধ্যেই পর্তুগালে পৌঁছাতে চাই, বলেন মওদুদ খান।
দলটির পক্ষ থেকে তিনি টেকশহরডটকমকে ধন্যবাদ জানান বিষয়টি তুলে আনার জন্য।
৩১ মার্চ শুরু হতে যাওয়া প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের তিন সদস্য মওদুদ খান শাহরিয়ার, জুবায়ের আরাফ ও অভিষেক পাল যাচ্ছেন। আর তাদের কোচ হিসেবে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রর্বতী। তবে আরেক কোচ শাবিপ্রবির প্রভাষক মেহেদী হাসান নাহিদ ভিসা পাননি।
এর আগে দলটি গত ২১ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের ভিসার জন্য ফ্রান্সের দূতাবাসে আবেদন করে। কারণ, পর্তুগালের কোন দূতাবাস না থাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের মাধ্যমে পর্তুগালের ভিসার আবেদন করতে হয়। এরপর ৭ মার্চ দলটিকে পাসপোর্ট ফেরত আনতে বলে দূতাবাস। কিন্তু সেদিন তারা জানতে পারে তাদের ভিসা হয়নি।
এরপর শাবিপ্রবি উপাচার্য এবং সিইসি বিভাগের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। কিন্তু গত ২৫ মার্চ সেখান থেকেও জানানো হয় তাদের ভিসা হয়নি।
ইএইচ/মার্চ২৮/২০১৯/১৮৪৫