![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রীক যে ব্যবসা বা উদ্যোক্তা গড়ে উঠছে সেখানে নারীদের আধিপত্যই বেশি। বিশেষ করে ফেইসবুক –কমার্সে দেশের নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে।
ফেইসবুকে পেইজ খুলে ছোট ছোট উদ্যোক্তা হয়ে এখন অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই কাজটি অনেকেই করেছেন একা, আবার অনেকেই বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে।
ফেইসবুক ভিত্তিক এমনই এক উদ্যোক্তা রিপা। রিপা মাহমুদা ফেইসবুকে পেইজ খুলে পোশাক বিক্রির পাশাপশি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিজের পণ্যের রিভিউ দিয়ে থাকেন।
রিপা টেকশহরডটকমকে জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে কিছু একটা করতে চাইতাম। যেহেতু ফেইসবুক, ইউটিউবে বেশি সময় কাটতো, এক সময় খেয়াল করলাম মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আয়ও করা যেতে পারে। এরপরই শুরু করলাম মেয়েদের পোশাক বিক্রি।
তিনি বলেন, কাজটি করতে গিয়ে আমি প্রথমে পণ্যের রিভিউ দিই। সেখানে আমাকে ভিডিও এবং ছবি তোলায় সাহায্য করতে থাকে আমার ছোট ভাই ও বন্ধুরা। এভাবেই এখন কাজটি করে চলেছি। পাশাপাশি পড়াশোনা।
রিপার মতো এমন অনেক শিক্ষার্থীই এখন সামাজিক মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করছেন মাধ্যমেগুলো ব্যবহার করে নিজেদের মতো করে।
দেশে ফেইসবুক পেইজ খুলে যারা উদ্যোক্তা হয়েছেন তাদের সঠিক কোন হিসাব কোন সংগঠনের কাছেই নেই। আর শুধু সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক উদ্যোক্তাদের কোন সংগঠনও নেই। তাই সরাসরি ফেইসবুক ছাড়া দেশে কতজন উদ্যোক্তা হয়েছেন তার সঠিক হিসাব করাও অসম্ভব। কারণ, এখন উদ্যোক্তারা শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয়। প্রত্যন্ত গ্রামেও দেখা যায় অনেকেই এমন পেইজ খুলে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন। তাদের হিসাবের মধ্যে নিয়ে আসা কঠিন।
ঢাকায় ও এর আশেপাশে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেয় বা ফেইসবুকে নিয়মিত সক্রিয় থেকে কিছু বিক্রি করে এমন পেইজের সংখ্যা বের করার চেষ্টা করেছে নুসরা টেক।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী নেয়ামতউল্লাহ মহান টেকশহরডটকমকে বলেন, আমরা ফেইসবুকের সঙ্গে কিছু বিষয়ে যুক্ত থাকায় এমন পেইজের কিছুটা সংখ্যা জানি। আমাদের হিসাবে সেটা ২০ হাজারের কিছু বেশি। যার মধ্যে অন্তত ১২ হাজার পেইজ নিয়ন্ত্রণ করেন নারীরা। মানে অন্তত ৬০ শতাংশ নারী ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করছেন।
এর বাইরেও অনেক নারী সরাসরি ই-কমার্সের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা টেকশহরডটকমকে বলেন, আমরা সরাসরি যারা ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত শুধু তাদেরকেই সদস্য হিসেবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করি। সেই হিসাবে আমাদে সাড়ে আটশো সদস্যের মধ্যে ১২০ জন রয়েছে নারী। যারা ই-কমার্স ব্যবহার করে উদ্যোক্তা হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা নারীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করতে গিয়ে দেখেছি তারা অনেকেই ছোট ছোট আকারে বাসায় বসেই কিছু কিছু পণ্য বিক্রি করছেন সামাজিক মাধ্যমে। তাদের সংখ্যা একেবারেই কম নয়।
সেই সংখ্যাটা তারা নুসরা টেকের কাছ থেকেই নেন বলেও জানান।
ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এবং বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান টেকশহরডটকমকে বলেন, বিশ্বের সব দেশেই তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে গত কয়েক বছর থেকে দেশে নারীরা খাতটিতে আসতে শুরু করেছেন। এটা শুরু অনেকেই করছেন সামাজিক মাধ্যমকেন্দ্রিক। এটা বাড়ছেই।
ইএইচ/মার্চ০৮/২০১৯/১৬৫৫