![]() |
টেক শহর ডেস্ক : চীনা বিজ্ঞানীরা বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের খুব কাছে পৌঁছে গেছেন এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার খুব বেশি দিন হয়নি। এরই মধ্যে আরও চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন বৃটেনের একদল গবেষক। লাই-ফাই নামের এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন তারা।
বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করে ডেটা স্থানান্তরে গত সোমবার গবেষক দলটি অবিশ্বাস্য এ গতি পেয়েছেন। এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাতির মাধ্যমে এ লাই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৩ গিগাবাইট গতি পাওয়া গেছে এলইডির ইন্টারনেটে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার সফল হলে তা ওয়াই-ফাইকে যেমন অতীত ইতিহাস বানিয়ে ফেলবে তেমনি স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ হাতের নাগালে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যারাল্ড হাসের নেতৃত্ব এডিনবরা, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ, স্ট্রাথস্লাইড, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে লাই-ফাই নিয়ে কাজ করছেন। ‘আল্ট্রা-প্যারালাল ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশনস প্রজেক্ট’ শীর্ষক গবেষণার আওতায় এলইডি বাতি থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার প্রকল্প চালাচ্ছেন তারা।
অধ্যাপক হ্যারাল্ড হাস ২০১১ সাল থেকে বৈদ্যুতিক বাতির আলোক তরঙ্গ ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযোগের পদ্ধতি উদ্ভাবনের বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি ওয়াই-ফাইয়ের আদলে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগের নামকরণ করেছিলেন ‘লাই-ফাই’ (লাইট-ফিডেলিটি)। তিনি এটিকে বাস্তব রূপ দিতে ওই সময়ে একটি কোম্পানিও গঠন করেছিলেন।
এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল। এ ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ক্ষুদ্র এলইডি বাল্ব। এটি তৈরি করেছে গ্লাসগোর ইউনিভার্সিটি অব স্ট্রাথস্লাইড।
এর আগে চলতি মাসে চীনা বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র এলইডি বাতি ব্যবহার করে একটি মাইক্রোচিপ তৈরি করেছিলেন যা প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছিল। যাতে একটি বাতির মাধ্যমে তারা চারটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পেরেছিলেন।
-বিবিসি প্রতিবেদন থেকে আমিন রানা
Great news. I think, BD people will happy if they get 2mbps speed 😀