![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : চাকরির বিজ্ঞাপনে লেখা দেখলেন, ‘এ বক্সটি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করুন’। আপনি তো অবাক। সাদাকালো হিজিবিজির এ বক্সের ছবিটি কিসের? স্ক্যানই বা করব কিভাবে?
জেনে রাখুন, এ বক্সের নামই কিউআর কোড (কুইক রেসপন্স কোড)। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো আমাদের দেশেও কিছুদিনের মধ্যেই চাকরির বিজ্ঞাপনে এ কোডের ব্যাপক উপস্থিতি দেখতে পাবেন। এটি স্ক্যান করলে পেয়ে যাবেন ওই বিজ্ঞাপনে চাকরি সর্ম্পকিত প্রয়োজনীয় তথ্য।
কিউআর কোড মূলত বিশেষ ধরনের বারকোড। তবে সাধারণ বাইনারি কোডের চেয়ে এর তথ্যধারণ ক্ষমতা বেশি। একটু খেয়াল করলেও আজকাল বিভিন্ন কার্ড, পোস্টার কিংবা অনলাইনেও এর ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন।
স্মার্টফোনে কিউআর কোড ব্যবহার খুবই সহজ। এ জন্য এমন একটি অ্যাপ নামাতে হবে যা এ কোড সাপোর্ট করে। প্রতিটি স্মার্টফোন প্ল্যাটফর্মেই বিনামূল্যে অনেক কিউআর কোড স্ক্যানার পাওয়া যাবে। স্ক্যান করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করে ফোনের ক্যামেরা কোড বরাবর ধরুন। সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্যান করে আপনাকে কোডের ভেতরের তথ্যটি জানিয়ে দেওয়া হবে। কিংবা সেটি কোনো লিংক হলে আপনাকে ওই ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
অনেক বিজ্ঞাপনে এটি বিজ্ঞাপনদাতার ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো তথ্য জানাতে ব্যবহার করা হয়। তবে এর মূল ব্যবহার আরও ব্যাপক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেক ভিজিটিং কার্ডে আজকাল কিউআর কোড ব্যবহার করতে দেখা যায়, যা স্ক্যান করলে কার্ডের ব্যক্তির নাম ও নম্বর আপনার স্মার্টফোনে সেভ হয়ে যাবে।
জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো সম্প্রতি কিউআর কোডকেই গাড়ির বিভিন্ন পার্টস শনাক্ত করার জন্য বেছে নিয়েছে। এর জন্য তাদের আর আগের মতো সিরিয়াল নম্বর মেলাতে হবে না; প্রতিটি পার্টসের বিস্তারিত জানা যাবে কেবল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, অনেক ফেইসবুক পেজ কিংবা ওয়েবসাইটেও দেখবেন এ কোডের মাধ্যমে কোনো লিংক বা তথ্য পরিবেশন করতে।
বিশ্বব্যাপী চাকরিদাতারা ইতোমধ্যেই ব্যাপক হারে শুরু করেছে এ কোডের ব্যবহার। এছাড়া সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপনিও আপনার সিভিতে ব্যবহার করতে পারেন এ কোড। এর ফলে চাকরিদাতারা খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ উপায়ে আপনার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যেতে পারে। অবশ্য যার হাতে সিভিটি পড়বে, তিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ না-ও হতে পারেন। তাই কিউআর কোডের নিচে দিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লিখে দিতে পারেন।
এ ছাড়া আপনার ভিজিটিং কার্ডেও একইভাবে কিউআর কোডের মাধ্যমে যুক্ত করতে পারেন ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস, ফেসবুক বা অন্য কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ঠিকানা। আরও দিতে পারেন যোগাযোগের ঠিকানা। ফলে আপনার কার্ডটি যাকে দিচ্ছেন, তিনি অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন। স্ক্যান করেই তিনি আপনার বিস্তারিত সেভ করে নিতে পারবেন কিংবা আপনার ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন। কার্ডে নতুনত্ব আনার পাশাপাশি এটি সময়ও বাঁচিয়ে দেবে।
– প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে শাহরিয়ার হৃদয়