![]() |
তুহিন মাহমুদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কমদামি বা বেশিদামের যাই হোক না কেনও ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের পাশাপাশি ডিজাইনদের কাজের জন্য নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে ট্যাবলেট। ট্যাবলেটের মাধ্যমেই একজন ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার তার কাজকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আর এই কাজকে সম্পন্ন করতে প্রয়োজন ভালোমানের ডিজাইন অ্যাপস।
ডিজাইনারদের কাজকে সহজ করতে গুগল প্লে স্টোরে অসংখ্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ রয়েছে। তবে এতোসব অ্যাপের ভিড়ে কাজের অ্যাপ খুঁজে পাওয়া একদিকে যেমন কষ্টকর, অন্যদিকে সময় সাপেক্ষ ব্যাপারও। তাই ডিজাইনাদের সহায়ক কিছু অ্যাপ নিয়ে এই প্রতিবেদন। এগুলো সকল ডিজাইনারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স হিসেবে কাজ করবে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জনপ্রিয় এই ৫ অ্যাপ বাছাই করা হয়েছে।
ইনফিনিটি ডিজাইন
স্বনামধন্য ডেভেলপার সিন ব্রেকফিন্ডের তৈরি ইনফিনিটি ডিজাইন একটি ভেক্টর গ্রাফিক্স অ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েডের এই অ্যাপটি ট্যাবলেট অথবা স্মার্টফোনে ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজাইন করা যায়।
অ্যাপটিতে ইনফিনিটি ক্যানভাস, ইনফিনিটি লেয়ার এবং ইনফিনিটি আনডু ও রিডু সিস্টেম, লেয়ার অপশন যেমন স্প্লিট, ফ্লিপ, ডুপ্লিকেট ইত্যাদি ফিচার। এছাড়া রয়েছে ক্যানভাস থেকে ছবি ইমপোর্ট করা, স্পেশাল ইফেক্ট দেওয়া ও পাথ এডিটিং ও পেন টুল ব্যবহারের সুবিধা। ৩.২২ ডলারের এই অ্যাপটির বিনামূল্যের সংস্করণও রয়েছে। তবে বিনামূল্যের সংস্করণে শুধুমাত্র জেপিইজি ফরম্যাটে ছবি সংরক্ষণ করা যায়।
স্কেচবুক এক্সপ্রেস
বিনামূল্যের এই অ্যাপটি ডিভাইসের সাইজ অনুযায়ী দুইটি সংস্করণ রয়েছে। এটি একটি পেইন্টিং ও ড্রয়িং অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে স্কেচ, লেয়ার, ব্রাশের কাজ করা যায়।
মাইপ্যান্টোন
৫.০৩ ডলারের এই অ্যাপটি দামের দিক থেকে বেশি হলেও ডিজাইনাদের কাজের সহায়তায় অতুলনীয়। মাইপ্যান্টোন অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ডিভাইস থেকেই প্যান্টোন কালার লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন রঙ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়। প্যান্টোন প্যালেটস তৈরি ও শেয়ার করার এবং সেগুলো অ্যাডোব ক্রিয়েটিভ স্যুট অথবা কোয়ার্ক এক্সপ্রেসে .এএসই ফাইলে এক্সপোর্ট করার সুবিধা দেয়। এছাড়া ফটোগ্রাফির জন্য বিশেষ ফিচার রয়েছে এতে।
পেপারলেস
১.৫০ ডলারের এই অ্যাপটি ডিজাইনের পাশাপাশি ভার্চুয়াল বুক তৈরির সুযোগ দেয়। ফলে ব্যবহারকারী তার টাস্ক ম্যানেজমেন্ট যেমন কোন কাজটি কখন শুরু করতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ নোট ইত্যাদি রাখতে পারবেন। এতে সর্বোচ্চ ৩টি লেয়ার যুক্ত করা, অপাসিটি কমানো-বাড়ানো ছাড়াও ড্রায়িং, পেইন্টিং, কালারিং, স্কেচ ও নোট লেখা যায়। আর অ্যাপটির মাধ্যমে সম্পন্ন কাজটি ফেইসবুকে শেয়ার অথবা মেমরিতে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
ফন্টলি
কোনও ছবিতে লেখালেখির কাজকে অসাধারণ করে ফুটিয়ে তোলে এই ফন্টলি অ্যাপ। এছাড়া চলাফেরার মুহুর্তে টাইপোগ্রাফি ফটো তোলা, পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
এছাড়া ফন্টলির অন্যান্য ব্যবহারকারীদের টাইপোগ্রাফি সার্চ করা ও দেখার সুযোগ রয়েছে অ্যাপটিতে।