![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের চারটি আলোকচিত্র।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস’ (ডব্লিউএলএম) আয়োজনে ৫৬টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের চারটি আলোকচিত্র সেরা ১৫তে স্থান করে নিয়েছে।
চূড়ান্ত বিজয়ী তালিকা অনুযায়ী, আব্দুল মুমিনের তোলা রাজশাহীর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট পুঠিয়া রাজবাড়ির পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের একটি আলোকচিত্র চতুর্থ ও শাহরিয়ার আমিন ফাহিমের তোলা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের একটি আলোকচিত্র পঞ্চম স্থান লাভ করেছে।
এছাড়াও ১১তম স্থানে আছে নাজমুল হাসানের তোলা বায়তুল মোকাররমের আরও একটি আলোকচিত্র ও ১৫তম হয়েছে শাহরিয়ার আমিনের তোলা দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কুয়াশাচ্ছন্ন একটি আলোকচিত্র।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে উইকিপিডিয়া। উইকিমিডিয়ার আয়োজনে চলতি বছর এ প্রতিযোগিতায় তৃতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এবার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পর্বে ৩৭৭ জন অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫ হাজার আলোকচিত্র জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে জাতীয়ভাবে বিজয়ী সেরা ১০টি আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক ও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতান বলেন, মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্যই মূলত প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়। এতোগুলো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ১০টির মধ্যে চারটি আলোকচিত্র বিজয়ী হওয়াটা আয়োজক হিসেবে আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।
২০১৭ সালেও বাংলাদেশের দুটি আলোকচিত্র বিজয়ী তালিকায় স্থান পেয়েছিল। দেশের স্থাপনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য আলোচিত্রীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক এ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো স্ব-স্ব স্থাপনার আলোকচিত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করে। ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডে প্রতিযোগিতাটি শুরু হলেও দ্রুত অন্যান্য দেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং ২০১২ সালে গিনেস বুকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮৬টি দেশের ২২ লক্ষ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জমা পরে। এ বছর প্রতিযোগিতায় ৫৬টি দেশের ১৪ হাজার আলোকচিত্রী ২ লক্ষ ৫৮ হাজার আলোকচিত্র জমা দিয়েছিলেন।
ইএইচ/ডিসে২১/২০১৮/১৪০০