![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিখোঁজ’ শিরোনামে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচারিত সংবাদটি একটি গুজব।
‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে প্রতিদিন সফলভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।’
“অতএব, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিখোঁজ’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব।”
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল খবরটিকে একটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব’ বলে নিশ্চিত করেছে। এতে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ফেইসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব সনাক্তকরণ ও নিরসনে সেল গঠনের কাজ শুরু হয়।
সেই সময় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সরকারের উদ্যোগে গুজব সনাক্ত ও তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এই গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিখোঁজ’ -এর খরবটি গুজব হিসেবে চিহ্নিত করা সেলটির প্রথম আনুষ্ঠানিক কাজ।
এর আগে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সেপ্টেম্বর থেকেই গুজব সনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কাজ করবে বলে জানিয়েছিলেন।
অবশ্য তার আগে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইন্টারনেটে ‘অপপ্রচার’ বন্ধে এমন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানান।
তখন জানানো হয়েছিল, এই কেন্দ্র সার্বক্ষণিক বা ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে। আর কোন গুজব সামাজিক মাধ্যমে আসার তিন ঘণ্টার মধ্যে তা চিহ্নিত করে সকল সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং এফএম রেডিও ও সংবাদ মাধ্যমে তা জানিয়ে দিতে পিআইডি থেকে প্রেসনোট যাবে যে ওই সংবাদ ভিত্তিহীন, গুজব ও অসত্য।
এছাড়াও গুজব সনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্রে একটি ফোন নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছিল।
এডি/নভে২১/২০১৮/ ১৪১০