অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চার লাখ শিক্ষার্থী

Child-techshohor

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’ কর্মসূচিতে চার লাখ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করেছে ইউনিসেফ ও গ্রামীণফোন।

দেশজুড়ে চলা ওই কর্মসূচিতে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ছাড়াও ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

চলতি বছরের জুন মাসে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের যৌথ অংশীদারিত্বে কর্মসূচির শুরু হয়।

Techshohor Youtube

চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরি করা এবং চাইল্ড হেল্পলাইন (১০৯৮) সেবার বিস্তৃতি; যেখানে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি পরামর্শও সুবিধা।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ নিরাপদ ইন্টারনেটের এ উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলে প্রশংসা করেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে শিশুদের সুরক্ষিত করা এবং তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুরা অনলাইনে কি করছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং অনলাইনে যেকোন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তাদের নিরাপদে রাখতে তারা অনলাইনে যেসব বিষয়বস্তু দেখছে বা জানছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। সবার জন্যই নিরাপদ ইন্টারনেট।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, তরুণদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যত। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল রাজ্যে তাদের সুরক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব।  শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইন্টারনেট অপরিহার্য এবং একই সঙ্গে এটা সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের শিশুরা ইন্টারনেটে নানা প্রতিকূল অবস্থার পাশাপাশি, অনলাইনে নিরাপদ থাকার গুরুত্ব নিয়ে সচেতন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা এবং সর্ববৃহৎ মোবাইল আইএসপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি বলেন, শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিশু যেনো ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হতে পারে, তাই শিশুদের, বাবা-মায়েদের এবং অভিভাবকদের জন্য অনলাইনে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায় এ বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইএইচ/নভে১৯/২০১৮/১৯০৫

*

*

আরও পড়ুন